হ্যাকিংয়ের কবলে ম্যারাডোনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট
আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার চিরপ্রয়াণের তিন বছর হতে চলল। ফুটবল মাঠে অনন্য সব কীর্তির জন্য এরপরও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আলোচনায় ওঠে আসে তার নাম। ৩৩ বছর পর নাপোলি ইতালিয়ান লিগের শিরোপা জিতেছে। যা স্বাভাবিকভাবেই স্মরণ করিয়ে দেয় ম্যারাডোনার কথা। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন ফুটবলের এই মহাতারকা। পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট রয়ে গেছে ম্যারাডোনার। মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে তার সেই অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের কবলে পড়ে!
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। হ্যাকিংয়ের শিকার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে এরপর বেশ কয়েকটি পোস্ট করা হয়। বিভ্রান্তিকর সেসব পোস্ট পরবর্তীতে নজরে আসে ভক্তদের। এরপরই তারা বুঝতে পারেন যে, আইডি হ্যাক হয়েছে। পরবর্তীতে ম্যারাডোনার ঘনিষ্ঠ ও তার অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট টিম কোনো পোস্ট গুরুতরভাবে না নিয়ে হ্যাক হয়েছে বলে জানান। একইসঙ্গে সেসব পোস্ট এড়িয়ে যেতে আহবান জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
— TyC Sports (@TyCSports) May 24, 2023
হ্যাক হওয়ার পর ম্যারাডোনার আইডি থেকে প্রথম পোস্টটি ছিল এমন, ‘তারা জানে যে আমি আমার মৃত্যুকে জাল করেছি, তাই না?’
এরপর আরও একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করা হয়। এক পোস্টে লিওনেল মেসিকে নিয়ে ইতিবাচক কথা বললেও আক্রমণ করা হয় তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। এছাড়া আরেকটি পোস্টে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করে হ্যাকাররা। ফলে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে মেক্সিকান কোনো ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
— Analistas (@SomosAnalistas_) May 24, 2023
এ ঘটনায় বিভ্রান্ত ভ্ক্তদের উদ্দেশ্যে পরে ম্যারাডোনার পরিবার জানিয়েছে, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দিয়েগো ম্যারাডোনার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সাইবার হামলা হয়েছে। আমরা অ্যাকাউন্টটি উদ্ধার করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে তিনি মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের পরে বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওই সময় তার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে তার চিকিৎসকসহ আটজনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
এএইচএস