‘মিথ্যাচার’ করে ১০ পয়েন্ট খোয়াল জুভেন্তাস
ম্যাচে হার-জিতের ওপর নির্ভর করে পয়েন্ট টেবিলে অবনমন হয়। কিন্তু এক লাফে ১০ পয়েন্ট কাটা যাওয়ার ঘটনা অবাক করারই মতো। ইতালিয়ান লিগ সিরি-আ’য় সেটাই হয়েছে। এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের দুই থেকে ৭ নম্বরে নেমে গেছে জায়ান্ট ক্লাব জুভেন্তাস। হুট করে এত অবনমন বা হলোই কি করে! মূলত দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করার দায়ে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) তাদের এই শাস্তি দিয়েছে। এতে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে তুরিনের ক্লাবটি।
গত জানুয়ারিতে ওই অপরাধে এফআইজিসি জুভেন্তাসের ১৫ পয়েন্ট কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরবর্তীতে এপ্রিলে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে বিচারের আহ্বান জানায় দেশটির সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত (স্পোর্টস গ্যারান্টি বোর্ড)। তার প্রেক্ষিতে এফআইজিসির আপিল বিভাগ সোমবার (২২ মে) নতুন রায় দিয়েছে। আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে চলতি মৌসুমে ক্লাবটির ১০ পয়েন্ট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন >> ‘ডি মারিয়া সবচেয়ে অবমূল্যায়িত খেলোয়াড়’
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জুভেন্তাস আশা করেছিল পুনর্বিবেচনাতে তাদের কোনো পয়েন্ট কাটা হবে না। কিন্তু সে আশা পূরণ হলো না। ৩৬ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে এসি মিলান। তাদের সঙ্গে ৫ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে সাতে জুভেন্তাস।
— ESPN FC (@ESPNFC) May 22, 2023
এর আগে অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে জুভেন্তাসের ১১ জন পরিচালকের ওপর বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এফআইজিসির আপিল আদালতকে স্পোর্টস গ্যারান্টি বোর্ড বলেছিলেন ক্লাবটির কয়েকজন কর্মকর্তার শাস্তি পুনর্বিবেচনা করতে। তবে নতুন রায়ে আপিল আদালত আগের শাস্তিই বহাল রেখেছেন।
আরও পড়ুন >> ১ বছর মাঠের বাইরে থাকা পগবা ফের চোটে
এক লাফে ১০ পয়েন্ট কেটে রাখায় টেবিলের সাতে নেমে গেল জুভেন্তাস। এর আগে তারা ৩৫ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছিল। তাদের অবনমনে টেবিলের পেছনে থাকা দলগুলো সুবিধা পেয়ে ওপরে উঠে এসেছে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী মৌসুমে খেলার সম্ভাবনায় বড় ধাক্কা লাগল তুরিনের ক্লাবটির। যদিও তাদের হাতে চলতি মৌসুমের আরও তিনটি ম্যাচ বাকি আছে।
আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গত বছরের নভেম্বরে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ক্লাবের সভাপতি আন্দ্রে আগনেল্লি ও সহ-সভাপতি পাভেল নেদভেদ। এরপর আগনেল্লিকে দুই বছর এবং নেদভেদকে ৮ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসনে দেওয়া হয়।
এএইচএস