ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। সপ্তাহ তিনেক আগে বাফুফে সভাপতিকে এই বৃটিশ জানিয়েছিলেন, চুক্তি থাকা সত্ত্বেও কাজের পরিবেশ নেই বলে বাফুফে ছাড়তে চান তিনি। কয়েক দিনের ব্যবধানে এবার নিজের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনলেন তিনি। এখন ফেডারেশনকে দর কষাকষির প্রস্তাব দিয়েছেন।

পল স্মলির সঙ্গে বাফুফের আরো এক বছরের চুক্তি রয়েছে। বিদ্যমান চুক্তি থাকার পরও তিনি পুনরায় নতুন করে চুক্তির কথা বলছেন। বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, 'আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতেই মূলত পল নতুন করে চুক্তি করার কথা বলেছে।'

নতুন করে চুক্তি করার অর্থ হচ্ছে তার বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা আরো বৃদ্ধির দাবি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের সঙ্গে পলের যোগাযোগ চলমান। তাই তাকে বাংলাদেশে রাখতে হলে বর্তমান সম্মানীর চেয়ে আরো বেশি দিয়েই রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বলেন, 'আমরা খুব শীঘ্রই তার সঙ্গে বসব। তার চাহিদার সঙ্গে আমাদের যোগানের সামর্থ্য এবং বাস্তবতা সামঞ্জস্য হতে হবে। প্রাথমিক আলোচনার পর পলের প্রস্তাবনাটি বোর্ড সভায় উথাপিত হয়। সেখানে সকলের মতামত ও সামগ্রিক বিশ্লেষণের পরেই সিদ্ধান্ত হবে।' 

২০১৬ সালে বাংলাদেশে ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন পল স্মলি। পলের পদের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর শব্দও যুক্ত। নিজে প্রশিক্ষণ করানো এবং কোচ তৈরির ক্ষেত্রে পল ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে অনেক কাজ করলেও স্ট্র্যাটেজিক  ডিরেক্টর হিসেবে তার কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি। ২০১৬ সালে একটি বর্ষপঞ্জি দিয়েছিলেন। সেই পঞ্চি ফেডারেশন ঠিক মতো অনুসরণ করতে পারেনি। এরপর আর কোনো বর্ষপঞ্জি বা কয়েক বছর মেয়াদী রোডম্যাপ তিনি দেননি বা ফেডারেশনও চায়নি। বছর তিনেক কাজ করার পর বাফুফে ত্যাগ করেন পল।

২০২০ সালে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর আবার ফেডারেশনে যোগ দেন। আগের মেয়াদের মতো এই মেয়াদেও নারী দলই ছিল তার প্রধান কর্মক্ষেত্র। সাম্প্রতিক সময়ে বাফুফের এলিট একাডেমীর প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। জাতীয় দলের কোচ ন্যাশনাল টিমস কমিটির অধীনে, এএফসির বেতনভুক্ত কোচ ডেভলপমেন্ট কমিটির অধীনে থাকলেও পল সরাসরি ছিলেন বাফুফে সভাপতির তত্ত্ববধানে। তাই ট্যাকনিক্যাল বিষয় ছাড়াও ফেডারেশনের অনেক বিষয়ে তার প্রভাব ছিল।

এত স্বাধীনতা ভোগের পরও গত মাসের শেষের দিকে তিনি বাফুফে সভাপতিকে বলেছিলেন , এখানে ফুটবলীয় পরিবেশ নেই তাই তিনি আর কাজ করতে চান না। বাফুফে সভাপতি তখন অনুরোধ না রাখলেও এখন অনুরোধের প্রেক্ষিতে নতুন চুক্তির কথা বলছেন। এই দু’টি মন্তব্য ফেডারেশনের কর্তাদের কাছে করলেও গণমাধ্যমে এখনো নিজের বিষয়ে কথা বলেননি পল।

এজেড/এইচজেএস