ছবি: সংগৃহীত

গত সপ্তাহে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান। আজ ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ঢাকা আবাহনী। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লায় ৩০ মে।

এক সময় ঘরোয়া ফুটবল টুর্নামন্টের ফাইনাল মানেই ছিল ঢাকা মোহামেডান। গত এক দশকে এই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা আবাহনী ফাইনালে প্রতিদ্বন্দীতা করলেও মোহামেডান নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আনতে পারেনি। ২০১১ সালে কোটি টাকার টুর্নামেন্ট সুপার কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের সর্বশেষ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ফাইনালে ঢাকা আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা রেস থেকে ছিটকে গেছে ঢাকা আবাহনী। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল আবাহনী। এই শেখ রাসেলের বিপক্ষে হেরে ফাইনালে উঠা হয়নি ম্যারিও ল্যামোস শিষ্যদের। এবার ফেডারেশন কাপে সেই মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে আবাহনী।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ১-০ গোলের লীড নেয় আবাহনী। কোস্টারিকার ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে এগিয়ে যায়। বিরতির ছয় মিনিট পর আবাহনী ব্যবধান দ্বিগুণ করে। রাফায়েল অগাস্তো বক্সের একটু সামনে থেকে রাসেলের ডিফেন্ডার থেকে বল কেড়ে নেন। বক্সের ভেতর প্রবেশ করে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের দিকে বাড়ান। ফাহিম দৌড়ে এসে সুন্দরভাবে প্লেসিংয়ে গোল করেন।

৭০ মিনিটে আবার রাফায়েল-ফাহিম রসায়ন। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডরিয়েল্টন,রাফায়েল অগাস্তো বল দেয়া-নেয়া করে ফাহিমের উদ্দেশ্যে বল দেন ডান প্রান্তে। তার নেয়া ক্রস রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা গ্রিপে নিতে পারেননি। ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হওয়ায় আবহানীর ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত হয়।

শেখ রাসেলে অধিনায়কত্ব করেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। জাতীয় দলের অধিনায়ককে চলতি মৌসুমে স্বাধীনতা কাপের রানার্স আপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্টি থাকতে হচ্ছে।

এজেড/এইচজেএস