দুই বছর আগে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তাকে পুনরায় দলে ভেড়াতে চাইলেও, আর্থিক সঙ্কটের কারণে কাতালান ক্লাবটিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, মেসিকে কিনতে হলে কাতালান ডেরায় থাকা কয়েকজন ফুটবলারকে বিক্রি করে দিতে হবে বার্সাকে। তবুও মেসির ‍বর্তমান বেতন দিতে সক্ষম হবে না ক্লাবটি। ঠিক তার মাঝেই স্প্যানিশ জায়ান্টরা বড় দুঃসংবাদ পেল। ‘অনিয়মের দায়ে’ তাদের ১৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল কনফিডেনশিয়ালের খবরে এই তথ্য জানা গেছে। যেখানে খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধে অনিয়মের দায়ে স্পেনের কর কর্তৃপক্ষ এই জরিমানা আরোপ করেছে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন >> বার্সা ছাড়তে যাওয়া বুুসকেটসকে মেসির শুভকামনা

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, তদন্ত কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি অনিয়ম পেয়েছেন। এর মধ্যে আছে খেলোয়াড়দের অডি ব্র্যান্ডের গাড়ি সরবরাহ ও চার্টার ফ্লাইটের অর্থ পরিশোধ করেও নথিভুক্ত না করা এবং আর্দা তুরান ও অ্যালেক্স সং ক্লাব ছাড়ার পর তাদের চূড়ান্ত প্রদেয় অর্থের ভুল হিসাব-নিকাশ।

এর আগে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে পক্ষে রাখতে ঘুষ প্রদানের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে এখনও। সেই ‘নেগ্রেইরা মামলা’র তদন্ত চলাকালেই এমন আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে বলে জানা যায়। মূলত, স্প্যানিশ রেফারিং কমিটির সাবেক সহসভাপতি হোসে মারিয়া এনরিক নেগ্রেইরার প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ক্লাবটির বিরুদ্ধে এই মামলা চলছে।

গত মার্চে সরকারি কৌঁসুলিরা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে রেফারিকে ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসব ঘুষ দেওয়ার কথা জানানো হয়। এ অভিযোগ উঠায় বার্সার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। তবে উয়েফা তদন্ত করে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় স্বস্তি মেলে কাতালান শিবিরে। একইসঙ্গে সংস্থাটি পরবর্তী সময়ে ডিসিপ্লিনারি কমিটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও জানায়। 

এএইচএস