দুর্নীতির দায়ে ফিফা আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার তিন দিন পরই বাফুফের নির্বাহী সভায় তাকে ভবিষ্যতে আর ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা অনেকটা আজীবন নিষেধাজ্ঞাই। আজকের সংবাদ সম্মেলনে ফিফার সিদ্ধান্ত-আপিলের পাশাপাশি বাফুফের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন হয়েছে। সেই প্রশ্নের ব্যাপারে সোহাগ কোনো উত্তর দেননি, ‘এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’ 

সোহাগের পাশে বসে থাকা আইনজীবী আজমালুল হোসেন বলেন, ‘ফিফা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বাফুফে ভিন্ন সংগঠন তারা আলাদা সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’ সর্বোচ্চ সংস্থার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পর অধীভুক্ত সংস্থা হিসেবে বাফুফের আজীবন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এই আইন বিশেষজ্ঞের কাছে খানিকটা প্রশ্নবোধকের মতোই।

বাফুফের নির্বাহী সভা শেষে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী সোহাগের বিষয়ে বলেছিলেন, ‘বাফুফে কোনো দায় নেবে না। সব দায় তার।’ এই সম্পর্কে সোহাগ বলেন,‘ এই মুহূর্তে একজনের বা কারো মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’

বাফুফে ১৭ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সোহাগকে ভবিষ্যতে বাফুফের কোনো কর্মকান্ডে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সেই সিদ্ধান্ত সোহাগকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। এ নিয়ে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির মধ্যেই ক্ষোভ রয়েছে। 

ফিফার রিপোর্টে সোহাগ ছাড়াও আরো কয়েকজন ব্যক্তির ব্যাপারে বলা হয়েছে। যারা এই অনিয়ম-অসঙ্গতির সঙ্গে জড়িত। এদের ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করেননি সোহাগ, ‘আমি আমার ব্যাপারটিই বলতে পারি। তাদের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে কিনা বা তারা আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন কি না এটা তাদের বিষয়।’ 

সোহাগ ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী হলেও চেক স্বাক্ষর ও নীতি নির্ধারণী অনেক বিষয় নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারাই ছিলেন। কারো দ্বারা আদিষ্ট বা নির্দেশিত হয়ে কোনো কিছু করেছেন কিনা এই ব্যাপারেও মুখ খুলেননি সোহাগ।

এজেড/এফআই