নিষেধাজ্ঞা মুক্তির আশা সোহাগের
গত ১৪ এপ্রিল ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। এরপর থেকে গণমাধ্যম যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি। আজ (বুধবার) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোহাগ। সঙ্গে ছিলেন তার আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি।
সোহাগ সংবাদ সম্মেলন করার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন কিন্তু সেভাবে সাড়া দিতে পারিনি। তাই আমাদের অবস্থান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত।’সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্নের উত্তর সোহাগ দিতে পারেননি, ‘অনেক বিষয়ে এখন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। আমি আপিল করেছি এখন মন্তব্য করলে তখন আবার ফিফা বলতে পারে কেন মন্তব্য করলাম।’
বিজ্ঞাপন
সোহাগের আইনজীবী আজমামুল আন্তর্জাতিক আইনে বেশ অভিজ্ঞ। ফিফার সিদ্ধান্তকে ভুল হিসেবে ব্যাখ্যা তার, ‘২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয় কমিটি ও নীতিমালা ছিল না। ফিফার নির্দেশেই সকল কিছু হয়েছে। ফলে তাদের প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সঠিক নয়’। ৫ মে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে ফিফার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপীল করেছেন আজমালুল। তার আশা রায় তাদের পক্ষে আসবে, ‘আমরা যুক্তি ও প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আশা করি ফলাফল ইতিবাচক হবে’।
আবু নাইম সোহাগ নিজেকে সরাসরি নির্দোষ দাবি না করে বলেন,‘সময় সকল কিছুর উত্তর দেবে। আমি আশা করি নিজের সম্মান, বাংলাদেশের সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারব।’ এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ' ইন্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ফুটবলকে ভালোবেসেই ফুটবল ফেডারেশনে কাজ করেছি৷ অনেকে বলেছে রাত পর্যন্ত ভবনে থেকেছি তখন কাজ করেছি এ নিয়েই। পাঁচ বছরের অনেক ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছি’।
১৬ ফেব্রুয়ারী জুরিখে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সোহাগ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা। সেই সময় সোহাগ বর্ণনা করলেন এভাবে, ‘২ লাগেজ ভর্তি কাগজপত্র নিয়েছেন তারা ( আইনজীবী)। জুরিখ গিয়ে তারা সেগুলো সাজিয়েছেন। এতে ফিফা অনেক বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করে সর্বনিম্ন শাস্তি প্রদান করেছেন। প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমার উপর দায়িত্ব আসেই। '
এজেড/