ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ। এই টুর্নামেন্টে মোহামেডানের ছিল একচ্ছত্র দাপট। সেই সোনালী দিন এখন যেন মাত্র ছায়া। ২০০৯ সালের পর আবারো ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলবে মোহামেডান। 

১৪ বছর পর ফাইনালে উঠায় মোহামেডানের ফুটবলার, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু সর্বস্তরে বইছে খুশির বন্যা।মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও ক্লাবের অন্যতম পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মোঃ আলমগীর ফাইনালে ওঠা দলকে বোনাস প্রদান করবেন এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে বড় পুরস্কার থাকবে বলে জানান। 

মধ্যবর্তী দলবদলে মোহামেডান কোচিং স্টাফে পরিবর্তন এনেছে। দেশের অন্যতম শীর্ষ কোচ শফিকুল ইসলাম মানিককে বদলে সহকারী আলফাজ আহমেদের উপর ভরসা রেখেছিল মোহামেডান। আলফাজ সেই  প্রতিদান দিতে পেরে সন্তুষ্ট,‘ অনেক দিন পর মোহামেডান ফাইনালে এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই’। 

কাগজে-কলমে বসুন্ধরা কিংস অনেক শক্তিশালী দল। মোহামেডান সাম্প্রতিক সময়ে কিংসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। এই ম্যাচে কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো না থাকায় সাদা-কালোদের আরো সুবিধা হয়েছে,‘ আসলে দিনটি ছিল মোহামেডানের। রবিনহো থাকলে হয়তো আরো প্রতিদ্ব›িদ্বতা হতে পারত’ মনে করেন কোচ আলফাজ আহমেদ।
 
আলফাজের অধীনে মোহামেডান দ্বিতীয় লেগ থেকে ভালো ফুটবলই খেলছে। লিগে কয়েকটি ম্যাচে জয় পেয়েছে এবার ফেডারেশন কাপে ফাইনালে উঠল। মোহামেডানের এই নবরুপ সম্পর্কে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘ক্লাব কর্তৃপক্ষ সবাইকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। খেলোয়াড়রা ক্লাবকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। কিংসের বিপক্ষে শুরু থেকেই ভালো ফুটবল খেলেছে ছেলেরা। কখনো ম্যাচে মেজাজ হারায়নি, এর ফলই ফাইনাল।’

মোহামেডান এবারের মৌসুমের শুরুতে দু’টি ট্রফি জয়ের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিল। স্বাধীনতা কাপে ব্যর্থতার পর লিগেও পয়েন্ট টেবিলে সেই অবস্থায় নেই। ফেডারেশন কাপের ট্রফি ধরতে আর এক ম্যাচের অপেক্ষা।

এজেড/এফআই