চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
সেমিফাইনালের মহারণে মুখোমুখি রিয়াল-সিটি, এগিয়ে কারা?
শুরু হচ্ছে ইউরোপ সেরার লড়াই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের মহারণ। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুমে শেষ চারের দ্বৈরথে মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি। গত আসরে দুই লেগ মিলিয়ে ১৮০ মিনিট এগিয়ে থাকার পরও অবিশ্বাস্যভাবে রিয়ালের কাছে হেরে বসে সিটি। সেই মিরাকলের পর ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হয় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এবার একই মঞ্চে প্রতিশোধের সুযোগ গার্দিওলার শিষ্যদের সামনে।
ইউরোপীয় ফুটবলে ঝড় তুলছে সিটি। চলতি মৌসুমে ট্রেবল জয়ের পথে দারুণ গতিতে ছুটছে তারা। গেল আসরের বদলা এবার নিশ্চয়ই নিতে চাইবে ম্যানচেস্টার সিটি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটা অবশ্য রিয়ালের মাঠে। যেখানে গতবার মিরাকলের জন্ম দিয়েছিল রিয়াল। তবে ছেড়ে কথা বলবেন না গোলমেশিন হালান্ডরা। অন্যদিকে, ৯ বছর পর স্প্যানিশ কোপা দেল রে’র শিরোপা জেতা রিয়ালও দুর্দান্ত ছন্দে আছে। আর মঞ্চটা যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের, রিয়াল মাদ্রিদ তো সেখানে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচ কখন?
রিয়াল-সিটি হাইভোল্টেজ ম্যাচটি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে ম্যাচটি উপভোগ করা যাবে সনি স্পোর্টস ২-এ।
পরিসংখ্যানে কারা এগিয়ে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটি মুখোমুখি হয়েছে ৮বার। দুই দলই জিতেছে সমান তিনটি করে, অন্য দুটি ড্র। তবে গত চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় সিটির; যদিও সবশেষটায় বার্নাব্যুয়ে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম ইংলিশ দল হিসেবে সিটির সামনে রিয়ালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে জয়ের সুযোগ। প্রথমবার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিয়ালের মাঠে তাদের ২-১ গোলে হারিয়েছিল সিটিজেনরা।
রিয়ালের মাঠে ইংলিশ দলগুলোর নাকানিচুবানি খাওয়ার ইতিহাস বেশ পুরনো। এখন পর্যন্ত রিয়ালের মাঠে ইংলিশ দলগুলো ১৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪টিতে জয় পেয়েছে। রিয়ালের জয় ১০ ম্যাচে। বাকি ৩ ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্রয়ে। সিটি ছাড়াও রিয়ালের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছিল চেলসি, আর্সেনাল ও লিভারপুল।
নজর কাড়বেন কারা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই মৌসুমে সিটির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছেন আর্লিং হলান্ড। ১২ গোল নিয়ে চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারই। রিয়ালের হয়ে ৬টি গোল করেছেন ভিনিসিউস জুনিয়র। এ ছাড়া ৫ গোল আছে রদ্রিগোর। ৪ গোল করেছেন করিম বেনজেমা। অবশ্য গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে হলান্ডের (১৩) পরেই আছেন ভিনিসিউস (১২)।
এফআই