দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া সভা চলেছে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ইস্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটি ছিল সেই সভার মূল আকর্ষণ। আগের জরুরি সভায় গঠিত তদন্ত কমিটি থেকে ইতোমধ্যে দু’জন পদত্যাগ করেছেন। আজকের সভায় বাকি সদস্যদের নিয়েই তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর আগে বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদকে আহবায়ক করে ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছিল। দুই সদস্য পদত্যাগ করলেও, বাকিদের নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের আশাবাদ এই সহ-সভাপতির, ‘আমাদের কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা অত্যন্ত বিজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ। তাদের নিয়ে আমরা শিগগিরই কাজ শুরু করব।’

ফিফা ২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করেছে। এই তদন্ত কমিটির আওতাধীন সময় সম্পর্কে আহবায়ক নাবিল বলেন, ‘আমরা প্রথম সভা করে একটি রূপরেখা করব। প্রথম সভার পরই আমাদের কর্মপদ্ধতি ও নানা বিষয় অবহিত করা হবে।’ 

আরও পড়ুন >> বাফুফে ছাড়তে চান পল

বাফুফের বাইরের ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠান দিয়ে তদন্তের কথা উঠলেও নিজেদের ওপরই আস্থা রাখতে চান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘নাবিল একজন সংসদ সদস্য। তার উপর আস্থা রাখাই যায়।’

এই সময় স্বাধীন বা নিরপেক্ষ বলতে কি বোঝায় সেটা নিয়েও প্রশ্নকর্তাকে উল্টো প্রশ্ন রাখেন বাফুফে সভাপতি।

বাফুফের আগের নির্বাহী সভায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেই সভার পর ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। আজকের নির্বাহী সভার পর আরও এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রথম সভার পর থেকে কমিটির মেয়াদ থাকবে পরবর্তী ৩০ কর্মদিবস।

আরও পড়ুন >> বাফুফের ওয়েবসাইটের ত্রাহি দশা, জামালদের কোচ নাকি ল্যামোস!

আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত তিন জেলা ক্রীড়া সংগঠক। তাদের ওপর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের পদত্যাগের চাপ রয়েছে। এরপরও তারা আজকের সভায় স্বাভাবিকভাবেই অংশগ্রহণ করেছেন এবং পদত্যাগের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন।

এজেড/এএইচএস