২০১৬ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে পথচলা শুরু হয় পল স্মলির। এরপর থেকে তিনি দেশের ফুটবলের টেকনিক্যাল এন্ড স্ট্র্যাজিক ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মাঝে কয়েক মাস বাফুফের সঙ্গে সম্পর্কহীন থাকলেও, আবার নতুন দফায় চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকলেও এর আগেই তিনি বাফুফে ছাড়তে চান বলে জানা গেছে।

বাফুফের নির্বাহী সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপকালে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘পল স্মলি আর এখানে থাকতে চাইছে না। তাকে অনুরোধ করলেও, সে না করে দিয়েছে।’

আরও পড়ুন >> বাফুফেতে একদিনে দুই সভা

পল স্মলি বাফুফেতে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধাই ভোগ করতেন। এরপরও তিনি নাকি কাজের সুন্দর পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বাফুফে সভাপতির কাছে। ফিফা থেকে আবু নাঈম সোহাগের বহিষ্কারাদেশের পরই গুঞ্জন ছিল ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি বাফুফেতে থাকবেন না। 

পল স্মলি সিঙ্গাপুরে নারী অ-১৭ দল নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সফরে যাওয়ার আগেই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে তার অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। পল স্মলি বাফুফে থেকে উচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়ার পাশাপাশি প্রায় সব খাতেই কাজ করেছেন। এরপরও তার অভিযোগ বাফুফেতে ফুটবলীয় পরিবেশ নেই।

আরও পড়ুন >>  বাফুফে সদস্যদের পদত্যাগের চাপ বাড়ছে

বাংলাদেশ অ-১৭ নারী ফুটবল দল সিঙ্গাপুর থেকে গতকাল ঢাকায় এসেছে। দল আসলেও তিনি বাংলাদেশে ফিরেননি। ১৪ মে পর্যন্ত তার ছুটি রয়েছে। ছুটি নেওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরেই তার আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফে অধ্যায়ের সমাপ্তি হতে পারে। পল স্মলি গত ছয় বছরে বাংলাদেশের ফুটবলের সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা দিতে পারেননি। এরপরও তিনি চলে গেলে এই দেশের ফুটবলের জন্য ক্ষতি হবে বলে মনে করেন সালাউদ্দিন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলের এই অবস্থার পেছনে তার অবদানই সর্বাধিক। সে চলে গেলে নারী ফুটবল অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।

আবু নাঈম সোহাগের মতোই বাফুফেতে ক্ষমতাধর ছিলেন পল স্মলি। তার নিয়োগ টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে হলেও তিনি সরাসরি সভাপতির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতেন। তার কাজের পরিধিও ছিল বিস্তৃত। কোচিং সনদ প্রদান প্রক্রিয়া ও আরো কিছু বিষয়ে তার ওপরও ফুটবলাঙ্গনে খানিকটা অসন্তোষ ছিল।

এজেড/এএইচএস