পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা লঁরিয়ার বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পরপরই পরিবারসহ সৌদি আরব সফরে গেলেন লিওনেল মেসি। অবশ্য আর্জেন্টাইন মহাতারকার এমন সফরের অনুমতি ছিল না ফরাসি ক্লাবটির তরফে। দেশটির সংবাদমাধ্যম লেকুপের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে গোল ডটকম। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লঁরিয়ার বিপক্ষে হারের পর মেসির সৌদিযাত্রার অনুমোদন দেননি পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফে গালটিয়ের। এছাড়া প্যারিস জায়ান্টসদের ফুটবল পরামর্শক লুইস ক্যাম্পোসও এই মুহূর্তে মেসির মধ্যপ্রাচ্য সফরের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে কারো নিষেধই শুনেননি মেসি। 

এদিকে, আগামী জুনে পিএসজির সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও নতুন চুক্তি এখনো পর্যন্ত অনিশ্চিত। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ীর প্যারিসে থাকা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যেই সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে অন্য অনেক নামের সঙ্গে ওঠে আসছিল সৌদি আরবের নামও। এর মধ্যেই দেশটি সফরে গেলেন মেসি। 

মরুর দেশে পরিবারসহ খোশমেজাজে মেসি।

মেসি সৌদি আরবের ফুটবলে পা না রেখেও দেশটির সঙ্গে ভিন্ন একটি ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছেন। সাত বারের ব্যালন ডি অর জয়ী দেশটির পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। প্রচারণার মাধ্যমে আরব দেশটির পর্যটনশিল্পের প্রসারে মেসি ভূমিকা রাখতে চাইলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মেসির চলমান সফরও হয়তো সেটিরই অংশ।

সোমবার (০১ এপ্রিল) মেসিকে স্বাগত জানিয়ে একটি টুইট করেন দেশটির পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ আল খাতিব। লিখেছেন, সৌদি আরবের পর্যটন শুভেচ্ছাদূত মেসি ও তার পরিবারকে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সফরে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। এ সময় হ্যাশট্যাগে ‘ওয়েলকাম মেসি’ শব্দবন্ধটিও জুড়ে দেন তিনি।

এদিকে, পিএসজিতে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়াও নতুন গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছে সৌদি আরবের ক্লাবের নামও। আরেক বিশ্বতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর দেশটির আরেক ক্লাব আল হিলাল নাকি আর্জেন্টাইন তারকাকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী। এছাড়া সম্প্রতি আগ্রহী লিস্টে সৌদি প্রো লিগের আরেক শীর্ষ ক্লাব আল ইত্তিহাদের নামও শোনা যাচ্ছিল। 

এফআই