সাম্প্রতিক সময়ে দীর্ঘ দিনের ক্লাব লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। এর মাধ্যমে তার সঙ্গে অ্যানফিল্ডের সাত বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটবে। এরপরই আসন্ন গ্রীষ্মের দলবদলে কাতালান ক্লাবে ফিরমিনো যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু সেই খবর ভালোভাবে নেননি বার্সার সাবেক তারকা ফুটবলার ও ব্রাজিল কিংবদন্তি রিভালদো। তার মতে, জাভি হার্নান্দেজের অধীনেস বেশি প্লে-টাইম পাবেন না ফিরমিনো।

সে কারণে ফিরমিনোকে বার্সেলোনায় যোগ দিতে নিষেধ করেছেন ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি ফুটবলার। তিনি বলছেন, ‘এখন ফিরমিনোর বয়স ৩১ বছর। তার উচিত তাকে পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ দেবে এমন নিশ্চয়তা দেয় এরকম কোনো ক্লাবে যাওয়া।’

বেটফেয়ারের সঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি বলছেন, ‘আমি জানি আরও অনেক ব্রাজিল ফুটবলারের মতোই ফিরমিনোও বার্সায় খেলার স্বপ্ন দেখে এবং সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। কিন্তু আমার মতে, সে আগে জেনে নিক ওই দলে তাকে কোন পজিশনে খেলানো হবে।’

ব্রাজিল ও বার্সেলোনার সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার রিভালদো

কাতালান শিবিরে যোগ দিলে বেশিরভাগ সময় ফিরমিনোকে সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হতে পারে বলে মনে করছেন রিভালদো, ‘জাভি সবসময়ই একজন মূল ফরোয়ার্ডকে দলে খেলায়। সেই জায়গায় ইতোমধ্যে রবার্ট লেভান্ডফস্কি রয়েছে। হয়তো ফিরমিনো গেলে তার কৌশলে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে আমার মনে হচ্ছে, কয়েক মিনিটের জন্য ফিরমিনোকে নামানো হবে, বাকি সময় সে বেঞ্চে বসে কাটাতে হবে। এর মাধ্যমে তার সুন্দর অতীত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কেননা লিভারপুলে সে লিডিং রোলে থাকা প্লেয়ারদের একজন ছিল।’

তাই ফিরমিনোর কাতালান ক্লাবের পরিবর্তে অন্য কোনো ডেরা বেছে নেওয়ার পক্ষে এই ব্রাজিল কিংবদন্তি, ‘বার্সায় খেলা যেকোনো ফুটবলারের জন্য স্বপ্ন সেটি আমি জানি। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যারা তাকে বেশি খেলার সুযোগ দেবে, তাদের হয়েই খেলা উচিত। সেজন্য আগে জাভির সঙ্গে কথা বলতে হবে ফিরমিনোকে।’

আরও পড়ুন >> লিভারপুল ছাড়ছেন ফিরমিনো

চলতি মৌসুম শেষেই ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ফিরমিনোর। জাতীয় দলে এখন অনিয়মিত এই নম্বর নাইন তার শেষ সময়ে অবস্থান করছেন। ক্লাব ক্যারিয়ারই তার এখন একমাত্র ভরসা। ইতোমধ্যে বার্সা, ইন্টার মিলান ও সৌদি ক্লাব আল-নাসর তার সম্ভাব্য গন্তব্যের তালিকায় রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত দেশীয় কিংবদন্তি ফুটবলারের পরামর্শ তিনি কতটা আমলে নেন, সেটাই দেখার বিষয়!

এএইচএস