আবার বাফুফে সভা
নির্বাহী সভা ফুটবল ফেডারেশনের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ পর্যায়। সেই সভা অনেকটা অনিয়মিত। ২১ জনের নির্বাহী কমিটি হলেও ২-৩ জন কর্মকর্তা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগই অধিকাংশ সিদ্ধান্ত নিতেন। বাকিরা সেভাবে জানতেন না। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ায় এখন ঘন ঘন নির্বাহী সভার আহ্বান হচ্ছে।
ঈদের আগে চার দিনের ব্যবধানে দুটি জরুরি নির্বাহী সভা হয়েছে। ঈদের দশ দিন পর ২ মে সাধারণ নির্বাহী কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩১ ডিসেম্বর। গত সাড়ে চার মাসে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুসারে বছরে তিনটি নির্বাহী সভা বাধ্যতামূলক।
বিজ্ঞাপন
জরুরি নির্বাহী সভায় একটি আলোচ্য সূচি থাকে। এক বিষয় ছাড়া আলোচনার সুযোগ থাকে না। সাধারণ নির্বাহী সভায় কয়েকটি আলোচ্য সূচির পাশাপাশি বিবিধে অনেক সদস্য অনেক বিষয়ের আলোকপাত করেন। ২ মে দুপুরের সভায় নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগই মুল আলোচ্যসূচি, এছাড়া চলমান ফুটবল লিগ ও সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নশীপ লিগ অনুমোদনের পাশাপাশি কক্সবাজারে ফিফার অর্থায়নে ট্যাকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণে নির্বাহী কমিটির কিছু বিষয়ের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রয়োজন রয়েছে।
ঈদের আগে দুই জরুরি সভার একটিতে নারী ফুটবলের সূচির বাজেট এবং আরেক সভায় নিষিদ্ধ সোহাগের পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ হয়েছে। সাধারণ নির্বাহী সভা টানা তিনটি কোনো কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকলে সেই কর্মকর্তার পদ শূন্য হতে পারে। টানা তিন সভা অনুপস্থিত থাকলে ফেডারেশন থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফেডারেশন থেকে চিঠির মাধ্যমে কারণ জানতে চাওয়ার নিয়ম, সেই চিঠির উত্তর নির্বাহী কমিটির মনঃপুত না হলে ঐ পদ শূন্য হবে এমনটি রয়েছে বাফুফের গঠনতন্ত্রে।
এজেড/এফআই