দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে আর্জেন্টিনা। ইন্দোনেশিয়ার আয়োজক স্বত্ব বাতিলের পর ফিফা লিওনেল মেসিদের দেশকে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়। আর মাত্র মাসখানেক পরই আসরটি শুরু হবে। তার আগে দল গোছানোর কাজে নেমেছে স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার হ্যাভিয়ের মাসচেরানোর অধীনে ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সেই দলে থাকা আলেজান্দ্রো গার্নাচোকে নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পড়েছেন মাসচেরানো।

দেশটির সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। তারা বলছে, ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলা গার্নাচোকে ছাড়তে না চাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু ঘরের মাঠে হতে যাওয়া অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে স্বাগতিকরা ১৮ বছর বয়সী গার্নাচোকে খেলাতে চায়। মূলত অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফিফা ক্যালেন্ডারের অংশ নয়। তাই আর্জেন্টিনার বাইরের ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য নয়।

আরও পড়ুন >> মাদ্রিদে জন্ম নিয়েও যেভাবে আর্জেন্টিনা দলে গার্নাচো

তবুও প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সঙ্গে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। মাসচেরানো ও এএফএ ওই খেলোয়াড়কে পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছে, তবে নিয়মের মারপ্যাচে বিষয়টি জটিল। ইউরোপা লিগ থেকে এরিক টেন হাগের শিষ্যরা ছিটকে যাওয়ায় গার্নাচোকে পাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের মনোভাব পরিবর্তনের আশায় আছে আর্জেন্টিনা।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রেড ডেভিলদের একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে সেভিয়া। ইউনাইটেডের ক্যালেন্ডারে পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে আগামী রোববার (২৩ এপ্রিল)। ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিতব্য সেই ম্যাচে এফএ কাপের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে গার্নাচোরা ব্রাইটনের বিপক্ষে লড়বে। এরপর দীর্ঘ সময়ের বিরতি পাবে ক্লাবটি। আর সে কারণেই গার্নাচোর গায়ে আকাশি-সাদা জার্সি জড়ানোর সুযোগ মনে করছে দেশটি।

ইউনাইটেডের যুব দলে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলতি মৌসুমের শুরুতেই মূল দলে জায়গা করে নেন গার্নাচো। এরপর থেকে  তিনি একটু একটু করে ক্লাব কোচ এরিক টেন হাগের আস্থা অর্জন করে চলেছেন। অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারবার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ২০০৫ ও ২০০৭ সালেও দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে ২০০১ সালের আসরের আয়োজক ছিল আর্জেন্টিনা।

এএইচএস