বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ছিল গত শুক্রবার ( ১৪ এপ্রিল)। জরুরি সভার আলোচ্যসূচি ছিল নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা থেকে বাফুফে সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধের পর সেই সভা বাতিল করা হয়। এরপর থেকেই বাফুফে ভবনে একটা থমথমে পরিস্থিতি। 

এদিকে, ফুটবল ফেডারেশনের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ (সোমবার) বিকেলে নির্বাহী কমিটির সভা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আজ বিকেলেই নির্বাহী কমিটির সভায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হবেন। এর পাশাপাশি সোহাগের নিষেধাজ্ঞা রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করারও সিদ্ধান্ত আসতে পারে। 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এখন সাধারণ সম্পাদকশূন্য। বাফুফেতে সভাপতির পরই গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাধর সাধারণ সম্পাদক। যে কারণে, বাফুফেকে দ্রুতই এই পদের জন্য নতুন কাউকে বেছে নিতে হবে। সোহাগ এখন অতীত। শনিবারই বাফুফে ভবন থেকে সোহাগের নামফলক তুলে ফেলা হয়। সহসাই সেখানে বসবে নতুন নামফলক। কে হচ্ছেন সেই ব্যক্তি তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। 

আরও পড়ুন: সোহাগ : কম্পিটিশন ম্যানেজার থেকে ফেডারেশনের সর্বেসর্বা!

এর আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গতকাল (রোববার) বিকেলে ফেডারেশনের শীর্ষ কয়েকজন এক্সিকিউটিভকে (বেতনভুক্ত) ডেকেছিলেন। সোহাগের সঙ্গে জুরিখে যাওয়া এক্সিকিউটিভসহ অন্যরাও ছিলেন। সোহাগকে নিষিদ্ধ করার ৫১ পাতার রিপোর্টের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এই রিপোর্ট পড়ে বাফুফের এক্সিকিউটিভদের কাজে অসতর্কতার বিষয়টি তার চোখে ধরা পড়ে। ফিফার সোহাগকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবেদন এবং তার পর্যবেক্ষণ নিয়ে এক্সকিউটিভদের মতামত নেন।

আরও পড়ুন: যে ৪ কারণে নিষিদ্ধ হলেন বাফুফের সোহাগ

কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে এক্সিকিউটিভদের এই সাক্ষাতের সময় ফেডারেশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। ফিন্যান্স বিভাগের কর্মরত ব্যক্তিদের কাজের ত্রুটি ও দুর্বলতা তার চোখে ধরা পড়েছিল আগেই। সোহাগের এই নিষেধাজ্ঞা রিপোর্টে ফিন্যান্স বিভাগের অবহেলা আরো প্রকট হয়। ফেডারেশনের সেই শীর্ষ কর্মকর্তা ফিন্যান্স বিভাগের এক্সকিউটিভদের পদত্যাগ করার কথা বলেন।

এফআই