মাঠে খারাপ পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে বায়ার্ন মিউনিখের ড্রেসিংরুমেও। নতুন কোচ থমাস টুখেলের অধীনে তারা ফ্রেইবুর্গের কাছে হেরে জার্মান কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটির। সেই ম্যাচে তারা বড় ব্যবধানে হেরে লিগ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ তারকা সাদিও মানে এবং লেরয় সানে। ফলে শাস্তির মুখে পড়েছেন সেনেগাল তারকা মানে।

এর আগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষের ম্যাচ শেষে মাঠের ভেতরই তর্কে জড়ান মানে-সানে। পরবর্তীতে এই ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে ড্রেসিংরুমে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সাদিও মানে সানেকে ঘুষি মারেন বলে বিল্ড ও স্কাই স্পোর্টস জার্মানির খবরে জানানো হয়েছে। এ সময় সানের ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরে পড়ে।

সংবাদমাধ্যম স্কাই-১ বলছে, ওই ঘটনার পর সতীর্থরা তাদের দুজনকে সরিয়ে নেন। এই ঘটনায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ বলে জানা গেছে। সাদিও মানের সম্ভাব্য শাস্তির ব্যাপারে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের সিইও অলিভার কান ও স্পোর্টস ডিরেক্টর হাসান সালিহামিজিক।

ম্যাচের পর মাঠেই তর্কে জড়ান মানে-সানে। যার রেশ গিয়ে পড়ে ড্রেসিংরুমেও

পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে বায়ার্ন জানায়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর অসদাচরণের দায়ে আগামী শনিবার বুন্দেসলিগায় ঘরের মাঠে হফেনহাইমের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে রাখা হবে না মানেকে। এছাড়া তাকে জরিমানাও করা হবে। 

এর আগে বলা হয়েছিল, আগামী শুক্রবার দলটির কোচ থমাস টুখেলের সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। তার আগে মানে-সানের ঘটনায় বিষয়ে ক্লাবের সিদ্ধান্তের বিষয় জানা যাবে। সাদিও মানে ইতোমধ্যে সানে ও দলীয় অধিনায়কের কাছে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। যদিও আর্থিক জরিমানা ও একইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছেন তিনি।

আফ্রিকার দুইবারের বর্ষসেরা ফুটবলার মানে চলতি মৌসুমেই লিভারপুল থেকে যোগ দেন বায়ার্নে। আগে ইংলিশ ফুটবলে ছিলেন সানেও। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে তিনি ২০২০ সালে নাম লেখান বায়ার্নে।

এএইচএস