আবার সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে বাফুফে
সাবিনাদের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে ক্রীড়াঙ্গন সরগরম। বাফুফে আকস্মিকভাবে জরুরি নির্বাহী সভা ডেকেছে। তবে জরুরি সভার ব্রিফিংয়ে পাওয়া গেল সাধারণ আলোচনার সিদ্ধান্তই।
সাবিনাদের মিয়ানমার সফর বাতিলের চেয়ে ভবিষ্যতের আলোচনাই নাকি বেশি হয়েছে। এই মাসে সিঙ্গাপুরে এএফসি অ-১৭, জুলাই, অক্টোবর ও ডিসেম্বরে ফিফা উইন্ডো রয়েছে। এই তিন উইন্ডোতে দু’টি করে ছয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে সাবিনাদের। এই সূচির বাজেটই মূলত আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু।
বিজ্ঞাপন
নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাধারণত সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী মিডিয়ায় ব্রিফ করে থাকেন। তবে সালাম মুর্শেদীর অনুপস্থিতিতে আজ (বুধবার) ব্রিফ করেছেন সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তিনি সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, ‘ফিফা-এএফসি ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ ছাড়াও যে ঘাটতি থাকে তা দ্রুত বাজেট তৈরি করে বোর্ডে আবার আলোচনা করে প্রয়োজনে এই অর্থ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাইব।’
আরও পড়ুন: বাফুফের বেতনের হিসাবে গরমিল!
এই বছর কি কি খেলা রয়েছে এর সম্ভাব্য আয়-ব্যয় নিয়ে নারী ফুটবল কমিটির সভা হতে পারত। সেই সভার রিপোর্ট নির্বাহী সভায় আলোচনাযোগ্য হতে পারত৷ চলতি বছরের সূচি নিয়ে জরুরি নির্বাহী সভা কেন এর উত্তরে মানিক বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন সমস্যা না হয় এজন্যই আগে থেকেই প্রস্তুত হওয়া।’
মেয়েদের ফুটবলের জন্য এই বছরে বাফুফের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সংস্থানের নিশ্চয়তা রয়েছে। জুনিয়র ও সিনিয়র দল মিলিয়ে নারীদের জন্য বাফুফের আরো ঘাটতি থাকে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। এই ঘাটতি টাকা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়ার পরিকল্পনা ফেডারেশনের।
আরও পড়ুন : সাবিনাদের জার্সি ৮০০ টাকা!
বেসরকারি স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কাছে না চেয়ে শুধু সরকারের কাছেই কেন চাওয়া হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অভিভাবক সংস্থা হিসেবে তাদের একটি বাজেট দেব। পাশাপাশি অন্যত্রও ঘাটতি বাজেট পূরণের চেষ্টা করা হবে।
এজেড/এফআই