১২ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারের দেখা পেল ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। এক সময় ইউরোপের ফুটবলে রাজত্ব করা ক্লাবটি হঠাৎই পিছিয়ে পড়েছিল। এবারও সিরি আ’য় তারা পথ হারিয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়রথ ধরে রেখেছে সাবেক শিরোপাধারীরা। অন্যদিকে, পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকারও ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। সেই পরিসংখ্যান নিয়েই তারা ঘরের মাঠে আতিথ্য দেয় ইন্টার মিলানকে। কিন্তু সেসব পেছনে ফেলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ইন্টার ২-০ গোলে জয় পেয়েছে।

এদিন আগের ম্যাচে বর্ণবাদের শিকার হওয়া বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু নিজের গোলস্কোরিং বজায় রেখেছেন। একইসঙ্গে গোল পেয়েছেন নিকোলো বারেল্লা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র এবং জয়সূচক দুটি গোলই এসেছে বিরতির পর। পরবর্তী বুধবার ইন্টারের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলতে যাবে বেনফিকা।
 
বেনফিকার মাঠে দু’দলই লড়াই ছিল সমানে সমান। প্রথমার্ধে কেউই একক আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। তাই ম্যাচের উত্তাপও ছিল অপেক্ষাকৃত কম। নিরুত্তাপ প্রথমার্ধে দু’দল মিলে ওই সময়ে মাত্র একটি শটই লক্ষ্যে নিতে পারে। কিছুটা গোছানো খেলা দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে চাওয়া বেনফিকা সেই শট নেয়। কিন্তু সেটিও আলোর মুখ দেখেনি। একইসঙ্গে প্রতি আক্রমণ করলেও কোনো চেষ্টাই গোল হওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না সফরকারী ইন্টারের।

গোলবারে প্রথম ডেডলক ভাঙেন ইন্টারের নিকোলো বারেল্লা 

দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৬ মিনিটেই প্রথম ডেডলাইন ভাঙে ইন্টার। ৫১ মিনিটে আলেসান্দ্রো বাস্তোনির ক্রসে পাওয়া বল হেড দিয়ে জালে পাঠান নিকোলো বারেল্লা। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় বেনফিকা। কিন্তু ইন্টারের রক্ষণাত্মক মনোভাব তাদের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। ৫-৩-২ ফরমেশন দিয়ে গোল ঠেকানোই মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে। 

কিন্তু স্বাগতিকা বেনফিকার গোলের মরিয়া চেষ্টার মাঝেও তারা উল্টো গোল খেয়ে বসে। তবে এতে অবদান আছে বেনফিকার জোয়াও মারিওর। হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ করে দেয় সফরকারীদের। সেখান থেকে সফল স্পট কিক নেন লুকাকু। তার সেই বলই ইন্টারের জয় নিশ্চিত করে দেয়।

এএইচএস