‘প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে ৪০ সেকেন্ড স্তব্ধ ছিলাম’
বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় সাফল্য ধরা হয় ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে। সেই দলের অধিনায়ক রজনী কান্ত বর্মণ বর্তমানে বেশ অসহায় এবং অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। ক্রীড়ামোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেদনটি পেয়ে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে ফোন করেছিলেন।
রজনী কান্ত বর্মণ প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, '২৪ মার্চ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি কল আসে। আমি রজনী কান্ত বর্মণ কি না জানতে চাওয়া হয়। হ্যাঁ বলার পর জিজ্ঞেস করি আপনি কে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনা।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ফোন করেছেন এটি বুঝতে পেরে ৪০ সেকেন্ডের মতো আমি স্তব্ধ ছিলাম।’
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে রজনীর শারীরিক ও পারিবারিক খোঁজ নিয়েছেন, 'প্রায় চার থেকে সোয়া মিনিট প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ৪০ সেকেন্ডের মতো আমি স্তব্ধ ছিলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেন, ‘কথা বলো।' আমি এতটাই বিস্মিত হয়েছিলাম তেমন কিছু বলতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী আমার বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করছিলেন এবং আমি শুধু হ্যাঁ বলছিলাম।'
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ আব্দুল গাফফার রজনীকে সাহায্য করার বিষয়ে শুরু থেকে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী রজনীর খোঁজ নেওয়ায় তিনি অত্যন্ত গর্বিত, 'আমাদের দেশের মতো ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের আর কোনো দেশে নেই। রাষ্ট্রীয় এত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ক্রীড়াবিদ, সংগঠকদের পাশে দাঁড়ান। যতটুকু জানতে পেরেছি রজনী খুব শিগগিরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহায্য পাবেন।'
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রজনী কান্ত বর্মণ কয়েক বছর আগে ভারতে বসবাস শুরু করেন। তার স্ত্রী আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নিজেও মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। প্রাণে বাঁচলেও হাটতে-চলতে অসুবিধা হয় তার। এখন তিনি গাজীপুরে খুব অসহায় দিনযাপন করছেন।
এজেড/এইচজেএস /এফআই