লিওনেল মেসির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার ‘ফিনালিসিমা’ জয়ের এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি। কোপা আমেরিকার জয়ের পর তারা ইউরোপসেরা ইতালিকেও হারিয়ে দ্বিগুণ উচ্ছ্বাসে মাতেন। অন্যদিকে, নারী-পুরুষ সব বিভাগেই ব্রাজিল ফুটবলের শক্তিমত্তা অন্যরকম। তবে ব্রাজিলের পুরুষ দল বর্তমানে বেশ বাজে সময় কাটাচ্ছে। কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচেও হেরেছে তারা। তবে দেশটির নারী ফুটবল দলের চিত্রটা ভিন্ন। 

লাতিন আমেরিকার টুর্নামেন্ট কোপায় তারা স্বাগতিক কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। অন্যদিকে, ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানিকে হারিয়ে মহাদেশের সর্বোচ্চ ট্রফি জিতে নেয়। এরপর ব্রাজিল মুখোমুখি হয় ইউরোপসেরা নারী ইংল্যান্ড দলের। তবে নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ব্রাজিলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

ফিনালিসিমা দিয়ে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ইংল্যান্ড

চার মাস পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ আসরের অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ড (র‍্যাঙ্কিং ৪) আর ব্রাজিল (র‍্যাঙ্কিং ৯)। তার আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফিনালিসিমার ম্যাচটি। ৮৩ হাজারের বেশি দর্শক দুই ফুটবল সেরার ম্যাচ উপভোগ করতে হাজির হয়েছিল। 

আরও পড়ুন : বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নভেম্বরে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

এদিন ম্যাচের ২৩ মিনিটেই ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন এলা টুনি। তবে ব্যবধান মাত্র এক গোলের হওয়ায় সব সময়ই সমতায় ফেরার সুযোগ ছিল ব্রাজিলের। আর সেটিই ঘটে ম্যাচের শেষ দিকে যোগ করা সময়ে। ইংল্যান্ড গোলরক্ষক মেরি আর্পস ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে না পারায় ৯৩ মিনিটে ব্রাজিলকে সমতা এনে দেন বদলি নামা আন্দ্রেসা আলভেজ।

এরপর ট্রাইবেকারে দুই দলের প্রথম শট জালে প্রবেশের দ্বিতীয়টি দুই গোলরক্ষকই রুখে দেন। এর পর তৃতীয়টি থেকে ইংল্যান্ড গোল করলেও মিস করেন ব্রাজিলের অধিনায়ক রাফায়েলে সুজা। আর আর্পসের ওই একটি সেইভই ইংল্যান্ডকে ম্যাচে রাখে। এরপর চতুর্থ শটটি সফলভাবে জালে জড়িয়ে ইংল্যান্ডকে শিরোপাজয়ের আনন্দে ভাসান কেলি। আর ইংল্যান্ডের মেয়েরা টানা ৩০ ম্যাচ থাকল অপরাজিত।

এএইচএস