গেল বছর বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা দেশের জন্য বয়ে এনেছিলেন বড় সফলতা। সেবার সাবিনা খাতুনের দল সাফ জয় করেছিল। এরপর তাদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকার মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। নারী দলকে বিসিবি ৫০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল তবে এই টাকা এখনও পৌঁছায়নি মেয়েদের হাতে।

এদিকে, টাকার অভাবে এবার অলিম্পিক বাছাই পর্ব খেলতে যেতে পারেনি সেই সাফজয়ী মেয়েরা। সেই টুর্নামেন্ট খেলতে না যাওয়া নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেখানে টাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মানিক (বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক) টাকা দিয়েছে। সালামের (বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী) পে অর্ডার করে রেডি আছে। বিসিবির খবর জানি না। অনেকে টিভি পর্দায় বলেছে... তাদের বলছি ২৪ তারিখ দল যাবে সেখানে টাকা দেন।’

বাফুফে সভাপতির সেই টাকার বিষয় না জানা নিয়ে বুধবার জানতে চাওয়া হয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। এরপর সালাউদ্দিনের সেই না জানার কথাকে মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিকদের পাপন বলেন, ‘মিথ্যা কথা। ওরা নেয় না। বারবার বলা হচ্ছে তো। সুজনের (বিসিবি সিইও) সঙ্গে কথা বলেন, বলতে পারবে। আমাদের অক্টোবর মাসে চেক সই করা। বাফুফেকে দেব না তো আমরা (মেয়েদের দেব)।'

পাপন যোগ করেন, 'ওরা নিতে আসে না। এই বিষয়ে বেশি ভালো বলতে পারবে আমাদের সিইও। কদিন আগেও ওদের ফোন দেওয়া হয়েছে, যে আসেন নেন ভাই। ওরা তো আসে না। এখন কি করবেন?’

পরবর্তীতে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বোর্ড সভাপতির একটা কমিটমেন্ট ছিল ৫০ লাখ টাকা খেলোয়াড়দের দেওয়ার ব্যাপারে। সেভাবেই বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আসলে খেলোয়াড়দের উপস্থিতি এবং তাদের কাছে চেক তুলে দেওয়ার যে ইচ্ছে আমাদের ছিল, সেটা মিলছিল না বলেই হয়তো দেরিটা হচ্ছিল। কিন্তু আমরা প্রস্তুত ছিলাম তিন-চার মাস আগে থেকেই এবং চেকও প্রস্তত ছিল। সেটা আমরা যোগাযোগ করেছি এবং সাম্প্রতিক সময়েও আমরা কথা বলেছি। উনারা সুবিধাজনক একটা সময় দিলে আমরা চেকগুলো হস্তান্তর করে দেব। অথবা যদি তাও না হয়, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা চেকগুলো পৌঁছে দেব।'

এসএইচ/এফআই