মাত্র কয়েকটা দিনের ব্যবধান। তাতেই বদলে গেল দৃশ্যপট। গেল সপ্তাহে ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেমে সমর্থকদের সীমাহীন ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এবার ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে শুনলেন ধুয়োধ্বনি।

বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে মেসি যখন প্যারিসে ফিরলেন, যতদূর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। বিমানবন্দর থেকে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে যেন মেসি মেসি রব উঠেছিল। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে অর্ভ্যথনা জানাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে তারা। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতেও বেশি সময় লাগেনি। যত দিন যাচ্ছে পিএসজি সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক ততই খারাপ হচ্ছে। প্যারিস জায়ান্টসদের ব্যর্থতায় একতরফাভাবে দায়ি করা হচ্ছে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে। 

রোববার (২ এপ্রিল) রাতে আন্তর্জাতিক বিরতি কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে লিগ ওয়ানের ক্লাব অলিম্পিক লিওঁয়ের কাছে হেরে গেছে মেসি-এমবাপেরা। আর এদিন ম্যাচের শুরুতে লাইন-আপ ঘোষণা হতেই মেসিকে নিয়ে ধুয়োধ্বনি দেন পিএসজির সমর্থকদের একাংশ। অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। 

আরও পড়ুন: ‘মেসির জন্য তারা জীবনও দিতে পারেন’

ম্যাচশেষে মেসিকে নিয়ে সমর্থকদের আচরণ সম্পর্কে পিএসজি কোচ ক্রিস্টোফে গালটিয়ের বলেন, সে (মেসি) এমন খেলোয়াড়, যে উজাড় করে দিয়েছে নিজেকে। আজকেও সে চেষ্টা করেছে। চলতি মৌসুমের শুরুর ধাপে ক্লাবের হয়ে অনেক অবদান রয়েছে তার। কিন্তু আমরা তার কাছ থেকে সবকিছু প্রত্যাশা করতে পারি না। 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরই পিএসজির একদল সমর্থক অভিযোগ করেছিলেন মেসির দায়বদ্ধতা নিয়ে। তাদের অভিযোগ ছিল, মেসিকে যতটা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ততটা দায়বদ্ধতা তিনি দেখান না। বায়ার্নের বিরুদ্ধে দুই পর্বেই গোল করতে পারেননি লিও। সেই উদাহরণও টেনে আনেন সমর্থকরা। 

চলতি বছরের জুনে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে মেসির। এদিকে, নতুন করে চুক্তি নবায়নেরও তেমন আভাস মিলছে না। ক্লাবটিতে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যেই সমর্থকদের কাছ থেকে বার বার এমন বিরূপ আচরণের সাক্ষী হচ্ছেন তিনি। 

এফআই