ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে অল্প সময়েই ফুটবল জগতে দাপুটে অবস্থান তৈরি করেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপা অর্জন এবং পরবর্তী আসরেও ফাইনাল খেলা এই তরুণ তারকা নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন ইতোমধ্যেই। ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়েও এমবাপেকে বেশ সফল বলা চলে। ফলে অন্য ক্লাবে তার ট্রান্সফার ঠেকাতে বেতন বাড়িয়ে দেয় ক্লাবটি। যার পরিমাণও অনেক বেশি। এমনকি তার বেতন ছাড়িয়ে গেছে ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি ও নেইমারকেও।

পিএসজিতে এই ত্রয়ী তারকা মিলে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী আক্রমণভাগ। যা প্রতিপক্ষ যেকোনো ক্লাবের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। তবে ক্লাবের সফলতা এখন পর্যন্ত নিজেদের লিগেই আটকে আছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেললেও সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন নেই পিএসজির। তবুও ক্লাবে মেসি-নেইমারের চেয়ে সিনিয়রিটি নিয়ে বেশ আধিপত্য এমবাপের। তাদের সঙ্গে এই ফরাসি তারকার সম্পর্কটাও তেমন সুখকর নয়। দু’দিন পরপরই তাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি খবরে আসে।

তবে পিএসজি খেলোয়াড়দের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহের কমতি নেই। অবশ্য শুধু সম্পর্কই নয়, ক্লাব থেকে এই তিনজন কেমন বেতন পান, তা নিয়েও ভক্ত-সমর্থকদের কৌতূহলের কি আর শেষ আছে! সেই রহস্যেরই এবার খোলাসা করেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপ।

লেকিপ বলছে, পিএসজিতে মেসি-নেইমারের চেয়ে বেশি বেতন পান এমবাপে। যেখানে সামগ্রিকভাবে এমবাপের বাৎসরিক বেতন ৭ কোটি ২০ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৩৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ক্লাব থেকে ফরাসি তারকার মাসিক আয় ৬০ লাখ ইউরো (৭০ কোটি টাকা)। অন্যদিকে, আয়ের দিক থেকে এমবাপের পরের অবস্থানে আছেন নেইমার। তিনি পিএসজিতে পান মাসে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ইউরো (৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা)। তিন নম্বরে থাকা মেসির ক্লাব থেকে মাসিক আয় ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ইউরো (প্রায় ৪০ কোটি টাকা)।

এদিকে, মেসির সঙ্গে চলতি বছরের জুনে শেষ হচ্ছে প্যারিসিয়ানদের চুক্তির মেয়াদ। নতুন করে সেই চুক্তি নবায়ন করতে অনেক আগেই প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে পিএসজি। কিন্তু বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা তাতে এখনও সাড়া দেননি। যদিও ফরাসি গণমাধ্যমের খবর, ক্লাবে রাখতে হলে এমবাপের সমান বেতন দাবি করেছেন মেসি। তবে পিএসজির জন্যও সেটি অসম্ভব। ফলে মেসির সঙ্গে ফরাসি ক্লাবটির সম্পর্ক হয়তো এই মৌসুমেই ইতি ঘটতে যাচ্ছে। এরপর অবশ্য তার পরবর্তী নিয়ে অনেক গুঞ্জন চললেও সেসবের এখনও কোন কূলকিনারা পাওয়া যায়নি। 

অন্যদিকে, চড়া দামে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে ভিড়িয়েছিল পিএসজি। যা এখন পর্যন্ত ট্রান্সফার উইন্ডোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশানুরূপ সাফল্য না পাওয়ায় নেইমারের ওপর ক্লাব কর্তৃপক্ষ বেশ বিরক্ত। অবশ্য প্রতিটি মৌসুমেই বেশিরভাগ সময় ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। তবুও তাকে আর রাখতে আগ্রহী নয় পিএসজি। যদিও এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লাবটিতেই নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করার কথা জানিয়েছেন।

এএইচএস