ডি-বক্সের ভেতরে জিওভান্নি লো সেলসোর বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান পায়ে শট মারলেন লিওনেল মেসি। জাল খুঁজে পায় বল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ নম্বর গোল পূর্ণ হলো আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। সেখানেই না থেমে পরে উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকও।

ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে দেশের হয়ে শততম আন্তর্জাতিক গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মেসি। মেসির আগে ইরানের আলী দাই এবং পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ১০০তম গোলের মাইলফলকে নাম লিখিয়েছিলেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো দেল এস্তেরোতে কুরাসাওয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নামে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এর আগের ম্যাচে পানামার বিপক্ষে মেসি নিজের ৯৯তম গোল করেছিলেন। আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ এই গোলদাতা এই ম্যাচেই নিজের শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৭৪ ম্যাচে তার সর্বমোট গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০২-এ। 

তার আগে এ কীর্তি গড়েছেন কেবল দুজন। ইরানের সাবেক স্ট্রাইকার দাইয়ির নামের পাশে আছে ১৪৮ ম্যাচে ১০৯ গোল। তিনি ২০০৪ সালের নভেম্বরে শততম গোল করেন। ১৯৮ ম্যাচে ১২২ গোল নিয়ে শীর্ষ অবস্থান পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে গোলের সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি।

আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির প্রথম গোল এসেছিল ২০০৬ সালের মার্চে। ১৭ বছর আগে হওয়া ওই ম্যাচে অবশ্য হেরেছিল আলবিসেলেস্তেরা। প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ক্রোয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেসির সবচেয়ে প্রিয় প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। তাদের বিপক্ষে আট গোল করেছেন সাতবারের এই ব্যালন ডি’অর জয়ী। পরের অবস্থানে যৌথভাবে আছে ইকুয়েডর ও উরুগুয়ে। এই দুই দলের বিপক্ষে ছয়বার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন। সবশেষ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার হলো একমাত্র প্রতিপক্ষ যাদের বিপরীতে একাধিকবার (দুই ম্যাচ) খেলেও গোল পাননি তিনি।

প্রীতি ম্যাচের বাইরে মেসির গোলের সংখ্যা ৫৪। যার মধ্যে ২৮ গোল এসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। ফুটবল বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকায় তিনি করেছেন সমান ১৩ গোল করে।

এফআই