ফুটবল বিশ্বতো বটেই এমনিতেও খুব একটা আলোচিত নয় মাত্র ২৭৬ বর্গমাইলের দ্বীপদেশ কুরাসাও। অথচ কদিন ধরেই এ নামটি উচ্চারিত হচ্ছে। হবেই না কেন! বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। এবার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে অখ্যাত কুরাসাও’য়ের মুখোমুখি মেসি-ডি মারিয়ারা। 

দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দ্বীপদেশ কুরাসাওয়ের জনসংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার। অবশ্য কুরাসাওর ফুটবল ঐতিহ্য খুব সমৃদ্ধ না হলেও বেশ পুরনো। ১৯২৪ সালে ফুটবল শুরু দেশটিতে। আধুনিক ফুটবলে প্রবেশ করে ২০১১ সালে। ওই বছরই ফিফার পূর্ণ সদস্যপদ পায় কুরাসাও।

কুরাসাওয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৭ সালে ক্যারিবিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে কনকাকাফ নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল কুরাসাও। মেসিদের এই প্রতিপক্ষ কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। 

আরও পড়ুন: মেসিদের নিয়ে ফিফার ডকুমেন্টারি ‘রিটেন ইন দ্য স্টারস’

তবে বাছাইপর্ব একদম খারাপ যায়নি তাদের। নিজ অঞ্চলে ৬ ম্যাচ খেলে ৩ জয়ের বিপরীতে ড্র করেছে ২টি, হার মাত্র ১ ম্যাচে। সবকিছুর পুরস্কারও পেয়েছে। আর্জেন্টিনার নজরে আসার চেয়েও বড় বিষয় ফিফা র‍্যাংকিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৮৬।

অবশ্য সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না দলটির। ২০২২ সালে ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জিতেছে তারা, ড্র করেছে ২টিতে এবং হেরেছে বাকি ৫ ম্যাচে। আর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবার মাঠে নামার আগেও ধাক্কা খেয়েছে কুরাসাও। কনকাকাফ নেশনস লিগের ম্যাচে কানাডার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে তারা। এখন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা কোন কৌশলে খেলবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

প্রীতি ম্যাচে ফলাফল নিয়ে তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তবে দলটা যখন আর্জেন্টিনা, উত্তাপে কমতি নেই। আর প্রতিপক্ষ নিয়েও আগ্রহ কম নেই মানুষের। নিশ্চয়ই মেসিদের বিপক্ষে খেলতে নেমে ফলাফল ছাপিয়ে গর্বটাই বেশি হবে দ্বীপরাষ্ট্রটির ফুটবলারদের। তবে সে যাই হোক, আর্জেন্টিনা-কুরাসাও লড়াইকে বেমানানই বলতে হবে। কিন্তু এই বেমানান লড়াইয়ে আরও বেশি বেমানান ফল যদি তারা কোনোভাবে উপহার দিতে পারে, তাহলে ফুটবল বিশ্বে সত্যিকার অর্থেই ছড়িয়ে পড়বে কুরাসাও নামটি!

এফআই