বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে উল্লাস করছেন মেসিরা। আর গ্যালারি থেকে ভেসে আসছে চিরচেনা সেই সুর। কিছুক্ষণের জন্য লুসাইলের সেই বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতে পরিণত হলো যেন বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম। আলবিসেলেস্তারা তুমুল কোরাসে বিশ্বজয়ীদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। অশ্রু ঝরিয়ে কাঁদতে বাধ্য করছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তিন যুগ পর সোনালি ট্রফির স্বপ্নপূরণ। এমন সাফল্যের পর স্বাভাবিকভাবেই রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স থেকে মেসির শহর রোজারিও সর্বত্র পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। কাতার থেকে সোজা আর্জেন্টিনার বিমানে চেপে বসেন লিওনেল মেসি-ডি মারিয়ারা। তাদের বরণ করে নেয় লাখ লাখ আকাশী-সাদা সমর্থক। তবে এতকিছুর পরও যেন মন ভরছিল না সমর্থকদের। তাইতো কাতারে ইতিহাস গড়ার মাস তিনেক পর আবারো বরণ করে নেওয়া হয় আকাশী-সাদাদের। 

বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথমবার মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল পানামা। তবে প্রতিপক্ষ ছাপিয়ে চ্যাম্পিয়নদের মাঠে দেখতে যেন তর সইছিল না আর্জেন্টাইনদের। ম্যাচটি নিয়ে মানুষের মধ্যে উত্তাপ কেমন তা একটি দৃশ্য থেকেই টের পাওয়া যায়। কেননা ম্যাচের টিকিট কিনতে আগ্রহী ছিল ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এমনকি ১ লাখ ৩১ হাজার সাংবাদিক ম্যাচটি কভার করার জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড চেয়েছেন। অথচ বুয়েন্স আয়ার্সের সেই মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা আছে মাত্র ৮৩ হাজার।

পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে বুয়েন্স আয়ার্সের সেই মাঠে চ্যাম্পিয়নদের ঘরের মাঠে বরণ করে নিতে ছিল নানা আয়োজন। চলুন ছবির গল্পে জেনে নেওয়া যাক-

সবসময়ই মেসিদের বড় অনুপ্রেরণা তাদের সমর্থকরা

 

উৎসবের রাতে শামিল হলেন তারাও।
গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল বলা চলে।

 

যে মাঠ ইতিহাসেরও সাক্ষী।
উৎসবের মধ্যমণি যারা
চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসি

 

পানামার বিপক্ষে ম্যাচের একটি মুহূর্ত।
এক ছবিতে তিন যুগের অপেক্ষা ফুরাবার গল্প।

 

ছবিসূত্র-টিওয়াইসি স্পোর্টস, এপি, ডেইলি মেইল।

এফআই