চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্লি হলান্ডের অতিদানবীয় পারফরম্যান্সের সাক্ষী হলো ফুটবল বিশ্ব। এক ম্যাচেই প্রতিপক্ষের জালে পাঁচবার বল পাঠালেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। আর তাতে ভাঙলেন অনেক রেকর্ড। 

গোলমেশিন তকমাটা আগে থেকেই ছিল, তবে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতের পর নতুন তকমা দেওয়ার সময় এসেছে বোধহয়! অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি গোল করতে পারছিলেন না। সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন তরুণ এই তারকা ফের জ্বলে উঠতে বেশি সময়ও নিলেন না। লাইপজিগের বিপক্ষে ম্যাচটিতে হলান্ডের ‘পাঁচের’ কল্যানে ৭-০ গোলে জয় পায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মধ্যেই নিজের ৫ গোল পূর্ণ করেন হলান্ড।

ম্যানসিটি স্ট্রাইকারের ৫ গোলে নতুন কয়েকটি রেকর্ড তৈরি হয়েছে। তবে রেকর্ডের রাতে ক্লাবটির কোচ পেপ গার্দিওলা হলান্ডকে পুরো সময় খেলতে দেননি। দিলে হয়তো আরও কয়েকটি গোল তিনি করতে পারতেন। তাতে হয়তো নিজেকে আরও ছাড়িয়ে যেতেন এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। 

তবে যতটুকু করেছেন, সেটি কম কীসে! এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়ে ৩৯টি গোল করলেন হলান্ড। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ৫ গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এ ছাড়া লিগে দ্রুত ৩০ গোল পূর্ণ করার দিক থেকে এই তারকা সবার আগে। যেটি কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হলান্ডের রেকর্ড।

হলান্ড যেন এই ম্যাচকে রেকর্ডবই ভাঙার পণ করে নেমেছিলেন! চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমার্ধে একাধিক হ্যাটট্রিক করেন তিনি। এর আগে ১৯৯৬ সালে এসি মিলান ও ২০০০ সালে মোনাকোর জার্সিতে ইতালিয়ান ফুটবলার মার্কো সিমোনে একই কীর্তি গড়েছিলেন। এদিকে, হলান্ড ২০১৯ সালের অভিষেক চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সালসবুর্গের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এছাড়াও লিগটির নকআউট পর্বে হ্যাটট্রিক করা সিটির প্রথম খেলোয়াড়ও তিনি।

এত কিছুর পরও হলান্ড আফসোস করেছেন পুরো সময় খেলতে না পেরে। যার উত্তরে কোচ গার্দিওলা বলেছেন, ‘এত অল্প বয়সেই যদি এত রেকর্ড গড়ে, তাহলে ওর জীবন বিরক্তিকর হয়ে যাবে। ভবিষ্যতের জন্যও তো কিছু লক্ষ্য রাখতে হবে।’

এফআই