ডর্টমুন্ডকে বিদায় করে শেষ আটে চেলসি
মৌসুমজুড়ে বাজে পারফর্ম্যান্সের কারণে সপরিবারে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন গ্রাহাম পটার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগেও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বসে তার দল চেলসি। তাই দ্বিতীয় লেগ ছিল তার ভাগ্য নির্ধারণের ম্যাচ। দল হারলে পটারের চেলসি ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যেত। তবে নাটকীয়ভাবে জয় পেয়েছে তার দল। উঠে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মাস্ট-উইন গেমে ডর্টমুন্ডকে আতিথ্য দেয় চেলসি। শুরু থেকে আক্রমণ শানিয়ে তারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে গোছানো খেলার অভাবে পটারের শিষ্যরা স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত তারা ২-০ গোলে জিতে (দুই লেগ মিলিয়ে ২-১) শেষ আটের টিকিট পেয়েছে। যার মাধ্যমে দলে পটারের স্থায়িত্ব কিছুটা বেড়েছে বৈকি!
বিজ্ঞাপন
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে চেলসি। তবে ১৭ মিনিটে ডর্টমুন্ড এগিয়ে যেতে পারত। মার্কো রয়েসের নেওয়া ফ্রি-কিক শট ঠেকিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা। এর আগে অবশ্য তারা বড় ধাক্কা খেয়েছিল। চোটে পড়ে মাঠ ছেড়ে যান ডর্টমুন্ডের উইংগার জুলিয়ান বেনেডিত।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় পরপর দু'বার ডর্টমুন্ডের গোলপোস্টে হানা দেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু প্রথমে কাই হাভার্টজের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপরই গোছানো আক্রমণে বল জালে জড়ায় ব্লুজরা। তবে এটিও কাটা পড়ে অফসাইডের কল্যাণে। বেঁচে যায় ডর্টমুন্ড। খানিক পরে আবারও আক্রমণ৷ তবে এবারও চেলসির দৌড় গোলমুখ পর্যন্ত।
৪৩তম মিনিটে প্রথম গোলের ডেডলক ভাঙে চেলসি। ইংলিশ স্ট্রাইকার রাহিম স্টার্লিংয়ের দারুণ এক গোলে তারা এগিয়ে যায়। যার মাধ্যমে দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ এ সমতায় আসে দু'দল। বিরতির আগে দু'দলই ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালায়। তবে এ সময়ের মধ্যে আর কেউ গোল পায়নি।
আরও পড়ুন : ‘সমর্থকদের হত্যার হুমকিতে আতঙ্কিত চেলসি কোচ’
বিরতির পরও দাপুটে পারফর্ম ধরে রাখে পটারের শিষ্যরা। ৪৭তম মিনিটে তারা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। বেন চিলওয়েলের শট ডি-বক্সের ভেতর মারিয়ুস উলফের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় চেলসি। তবে প্রথমবার শট নিতে গিয়ে গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠালেও, বলটি পোস্টে মেরে দেন হাভার্টজ। তবে শট নেওয়ার আগে ডর্টমুন্ড খেলোয়াড় বক্সে চলে আসায় আবার পেনাল্টি শট মারার সুযোগ পায় চেলসি। এবারও আগের বারের মতো গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে একই জায়গায় শট নেন হাভার্টজ। তবে এবার আর ব্যর্থ হননি তিনি। বল পোস্ট ছুঁয়ে জালে পৌঁছে যায়।
এদিকে, দ্বিতীয়বার পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানায় ডর্টমুন্ড খেলোয়াড়রা। রেফারির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক করেও অবশ্য লাভ হয়নি। পিছিয়ে পড়ে অবশ্য একের পর এক আক্রমণে গিয়ে গোল আদায়ের চেষ্টা করে ডর্টমুন্ড। শেষ দিকে রীতিমতো আক্রমণের ঝড় তুলে তারা, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ডকে বিদায় করে চেলসি। এবারের মতো ম্যাচ জিতে পটারের স্বস্তি এনে দেন শিষ্যরা।
এএইচএস