জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। ২০১২ সাল থেকে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্য সাবেক এই ফুটবলার। তিন বার বাফুফে নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য থেকে পদত্যাগ, এক দশক ফেডারেশনে থাকা ও ফুটবল ফেডারেশনের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে মুনের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের।

বর্তমান কমিটির আর বছর দেড়েক মেয়াদ রয়েছে। এই সময়ে হঠাৎ পদত্যাগ করলেন কেন?

আরিফ হোসেন মুন : হঠাৎ করে নয় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত আমি এক বছর আগেই নিয়েছি। মিকু ভাই (জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব) ও আরো কয়েকজন জানে বাফুফে থেকে পদত্যাগ করব। পদত্যাগপত্র লেখাও ছিল, মাঝে ঢাকা এসেছিলাম সাধারণ সম্পাদক দেশের বাইরে ছিল। এবার ঢাকায় এসেছি, তিনিও আছেন তাই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে গেলাম। সিদ্ধান্ত আমার আগেই নেওয়া, এটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা। 

আপনার পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। সেই ব্যক্তিগত কারণগুলো কি?

মুন : ব্যক্তিগতভাবেই আমি পদত্যাগ করেছি। এটা সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্তেই। আমি পদ আকড়ে ধরে রাখার লোক না। আমি ফেডারেশনের কোনো কাজেই আসছি না,তাহলে সেখানে থাকব কেন। ফুটবল ফেডারেশনে সমস্যা অনেক। আমার একার পক্ষে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ফুটবল ফেডারেশনে যারা আছে তারা সবাই ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে প্রিয়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট না করে পদত্যাগই শ্রেয়। 

আপনি কাজ করতে চান সেই আগ্রহের কথা নির্বাহী সভায় অথবা ফেডারেশনের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বলতে পারতেন।

মুন : আমি তিন মেয়াদে বাফুফেতে ছিলাম। প্রথম দুই মেয়াদে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কথা বলেও কোনো মূল্যায়ন হয় না। দ্বিতীয় মেয়াদের (২০১৬-২০) শেষদিকে দেখলাম সভাতেও কন্ঠরোধের চেষ্টা। এরপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। এই তৃতীয় মেয়াদে তো আমি এক বছর ধরেই নিষ্ক্রিয়। নির্বাহী সভাতেও যাইনি, এমনকি সাধারণ সভাতেও (এজিএম) নয়। 

আপনার দ্বিতীয় মেয়াদে (২০১৬-২০) যখন আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন এরপরও কেন তৃতীয় বার ফেডারেশনে নির্বাচন করলেন?

মুন : সত্যিকার অর্থে আমার নির্বাচন করার আগ্রহ ছিলই না। সভাপতি সালাউদ্দিন ভাই নির্বাচনের আগে আমাকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন দেখা করতে। তিনি আমাদের সবার আইডল এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। মোবাইলে না বলে সরাসরি তার কাছে গিয়ে নির্বাচন করব না এটা বলতেই ফেডারেশন গিয়েছিলাম। সেই দিন সাক্ষাতের সময় দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন অনেকটা প্রতিবাদ স্বরুপই তৃতীয় বারের জন্য নির্বাচন করি।

ফেডারেশনের নির্বাচিত অনেক কর্মকর্তাদের মধ্যেই বাফুফের প্রশাসনিক স্টাফদের আচার-আচরণ ও কর্মকান্ড নিয়ে অনেক ক্ষোভ। অনেকে ফেডারেশনে নিয়মিত আসেন না এজন্য। আপনার দৃষ্টিতে বিষয়টি কেমন?

মুন : বাফুফের পেইড স্টাফ যারা রয়েছে তারা তো বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ীই চলে। বোর্ড যেভাবে চায়, তারা সেভাবেই চলে। আমি নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। আমরা যেভাবে চাই আমাদের ক্রীড়া সংস্থার স্টাফরাও সেভাবে চলে। ফুটবল ফেডারেশনের স্টাফদের আমি কোন দোষ দেব না। ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা যে আদেশ দেন, তারা সেটাই প্রতিপালন করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে খানিকটা বাড়াবাড়ি করেন এটাও সত্যি।

বাফুফের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী। এক যুগের বেশি সময় জাতীয় দলের সাবেক একজন অধিনায়ক বাফুফে সভাপতি। বোর্ডে আপনারা অনেকেই সাবেক ফুটবলার। সভাপতিকে এই বিষয়গুলো সভায় এবং ব্যক্তিগতভাবেও বলেছেন কখনো?

মুন : এই এক বছর বাদে বিগত সময়ে আমি প্রায় প্রতি সভাতেই গিয়েছি। নীলফামারী থেকে ঢাকায় যাওয়া-আসা ও থাকার ব্যয় রয়েছে। আমি কখনোই এটা ফেডারেশন থেকে নেইনি। অর্থ ও সময় ব্যয় করে সভায় গিয়েছি কথা বলেছি কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। 

একটি উদাহরণ দেওয়া যায় ?

মুন : এই মেয়াদে সভাপতি হওয়ার পরপরই জেলা ফুটবল শক্তিশালী করার কথা বলেছিলেন। আমরা খুব আশান্বিত হয়েছিলাম। দুই বছর হয়ে যায় জেলা ফুটবলের কোনো খোঁজ নেই। অনেক জেলার লোক সরাসরি সভাপতিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না তারা আমাদের কাছে জানতে চান। আমাদের কাছেও কোনো উত্তর নেই। অথচ তিনি সভাপতি হওয়ার পরপরই বলেছিলেন দ্রুতই সব কিছু হবে কিন্তু এখনো জেলা নিয়ে একটা সভা হয়নি।

ফুটবল ফেডারেশনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি সভাপতি। চতুর্থ মেয়াদের মতো তিনি রয়েছেন। জনশ্রুতি রয়েছে, পঞ্চম মেয়াদেও নির্বাচন করবেন। 

মুন : তিনি নির্বাচন করতেই পারেন। তার জন্য শুভ কামনা। একটাই চাওয়া তার যেন মানসকিতার পরিবর্তন হয়। তিনি যেভাবে চালাতে চান সেটা শুধু ফুটবল কেন কোনো প্রতিষ্ঠানই ওভাবে চলবে না। 

বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি প্রয়াত বাদল রায় ফেডারেশনে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। সাম্প্রতিক সময় আর্থিক বিষয় নিয়ে ফিফাও প্রশ্ন তুলছে। এজন্য ফেডারেশনের স্টাফদের জুরিখ দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?

মুন : ফুটবল ফেডারেশনে শুধু আর্থিক দিক নয়, অনেক দিকেই সমস্যা রয়েছে। বাদল দা অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনেক কিছু করার জন্য প্রতিবাদ করেছেন আবার বাধাগ্রস্তও হয়েছেন। বাদল দার মতো ব্যক্তিত্ব ফুটবলে না থাকা অপূরণীয় ক্ষতি। দাদার অনুপস্থিতি এই মেয়াদে বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে। দাদার অসুস্থতা, অকালে চলে যাওয়া সব কিছুর মূলেই ফুটবল। বাদল দার মতো লোকই যখন পারেননি তখন আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষদের আর কি-ই বা করার থাকে।

আপনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। একটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক। নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাও। তারপরও আপনার মতে আপনি ক্ষুদ্র ব্যক্তি ধরে নিলাম কিন্তু বাফুফের বোর্ডে প্রায় প্রতি মেয়াদেই একাধিক সংসদ সদস্য (মাঝে একজন উপমন্ত্রীও ছিলেন), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তারকা ফুটবলাররা থাকেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারও। তাদের কারো কাছে ফেডারেশনের কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়ে না।

মুন : অনেকে বুঝে, কিন্তু বলে না হয়তো কোনো স্বার্থের কারণে। আবার অনেকে ফেডারেশনে আসে অন্য কাজের সিড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়ানুরাগী। অনেকে এটি সিঁড়ি হিসেবেও ব্যবহার করে। আমার প্রথম পরিচয় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দেশ স্বাধীনের পেছনে আমার বাবার ন্যূনতম হলেও অবদান রয়েছে। স্বাধীন দেশে সত্য ও ন্যয়ের পক্ষে আমি কথা বলি। আমার আজকের সামাজিক, রাজনৈতিক সকল পরিচয়ের মূলে ফুটবল। এই ফুটবলের কাছে আমার অনেক ঋণ। সেই ঋণ পরিশোধ করতে ফেডারেশনের সদস্য হয়ে দেশের সামগ্রিক ফুটবল নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছিলাম। সেটা আর পারলাম কোথায়। এখন নিজ জেলার ক্রীড়াঙ্গন নিয়েই কাজ করব।

আপনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। প্রায় এক যুগ ফেডারেশনে কিন্তু জাতীয় দলের ম্যানেজার বা দলনেতা হননি এ নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে কি?

মুন : জাতীয় দলের ম্যানেজার, দলনেতা সম্মানের পদ। আমাকে দেয়নি এ নিয়ে আক্ষেপ নেই। আমি তৃণমূলের লোক, তৃণমূলে কাজ করতে চেয়েছি। আমাকে যদি দায়িত্ব দিত, আমি পালন না করতে পারলে ব্যর্থতা নিয়ে চলে যেতাম।

জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক ও ফেডারেশনের সাবেক সদস্য শেখ মোঃ আসলামও আপনার মতো ক্ষোভ নিয়ে একবার নির্বাহী সভা থেকে পদত্যাগ করেছিল। তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। আপনার ক্ষেত্রে এমন হলে?

মুন : আমি পদত্যাগপত্র দিয়েছি। বাকিটা তাদের ব্যাপার। তারা কি করবে না করবে তাদের বিষয়।

২০১২ সাল থেকে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে আপনি। দশ বছরের ফুটবলে কি পরিবর্তন দেখলেন?

মুন :  দেশ দশ বছরে সর্বক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে, ফুটবল ছাড়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমালোচকরাও স্বীকার করেন দেশের উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মাসেতু ছিল এক সময় ছিল কল্পনা সেটা এখন বাস্তব, মেট্রোরেলও হওয়ার পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। খোদ ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের বড় সাফল্য রয়েছে - ক্রিকেটে যুব বিশ্বকাপ জিতেছি, অলিম্পিকে নিজ যোগ্যতায় আরচ্যার রোমান সানা অংশ নিয়েছে। পুরুষ ফুটবল দলে দশ বছরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই। র‍্যাঙ্কিংয়ে ক্রমেই পেছাচ্ছে। দশ বছরে একটা বিষয় শুধু মোটা দাগে প্রিমিয়ার লিগ নিয়মিত হচ্ছে। কিন্তু এই লিগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন। লিগের অনেক কিছুই একটি দলের ওপর নির্ভর করে। এভাবে আর উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব। 

ফুটবলে উন্নয়ন না হওয়ার পেছনে ব্যর্থতার দায়ভার তো আপনারও পড়ে?

মুন : অবশ্যই এর দায় আমাদের সবারই। সমস্যা তো আমাদের মধ্যেই আমরা ফুটবলকে এগিয়ে নিতে পারিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো ক্রীড়াপ্রেমী বিশেষ করে ফুটবলপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে বিরল। সেই প্রধানমন্ত্রী থাকাবস্থায় আমরা ফুটবলকে সেভাবে এগিয়ে নিতে পারার দায় আমাদেরই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফুটবলের প্রকৃত পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কখনো যাইনি। 

মহিলা ফুটবল তো সাফল্য পাচ্ছে?

মুন : মহিলা ফুটবলের সাফল্যের পেছনে প্রথম অবদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। দ্বিতীয় অবদান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় দশ বছর এই রকম একটি কাজ নিয়মিত করছে। যেটা তাদের মূল কাজই না। সেখানে আমরা ফুটবল ফেডারেশন কি করছি।

জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুদান আগে ব্যয় হতো যুব ফুটবলে গত কয়েক বছর ধরে নারী ফুটবলে হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে নারীদের বছর ব্যাপী অনুশীলন করাচ্ছে এটা ছেলেদের নয় কেন? নারীদের পাশাপাশি ছেলেদেরও এভাবে তৈরি করলে তারাও ভালো করতে পারতো। নারী ফুটবলের সাফল্যের ভিত ও কারিগর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সত্য তারা স্বীকার করতে চায় না।

বাংলাদেশের ফুটবলে ক্লাবগুলো বড় বিনিয়োগ করে, ফুটবলাররা কাড়ি কাড়ি অর্থ পাচ্ছে, সাফল্য না থাকলেও মিডিয়ারও আগ্রহ রয়েছে, জনগণ ফুটবলপ্রেমী এরপরও ফুটবলে সামগ্রিক উন্নয়ন নেই কেন?

মুন : এই একই প্রশ্ন তো আমারও। নিশ্চয়ই আমাদের পরিকল্পনা, চেষ্টা আরও অনেক কিছুতেই ঘাটতি রয়েছে। না হলে বাংলাদেশের ফুটবলে উন্নয়ন হবে না কেন? আমাদের মানুষ ফুটবলপ্রেমী, ঐতিহ্য রয়েছে, সরকারও ক্রীড়াবান্ধব। এরপরও যখন উন্নয়ন হয় না, তখন এই ব্যর্থতার দায়ভার ফেডারেশনকে নিতেই হবে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কথা বললেন, সেই সূত্রে বলছি- ফুটবলাঙ্গনে অনেক আলোচনায় আসে বাংলাদেশের ফুটবলে অধপতনের শুরুটা আপনার অধিনায়কত্বের মাধ্যমেই। ১৯৯৩ সালে ঢাকা সাফ গেমসে আপনাকে অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ছিল এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ঢাকা সাফ গেমসে ব্যর্থ হয়। সেখান থেকেই নাকি মূলত জনপ্রিয়তা হ্রাস ও অধঃগতির যাত্রা। 

মুন : আমাকে কেন অধিনায়ক নির্বাচিত করেছিল সেই সময় ফেডারেশনের কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবে। সেখানে ক্লাব রাজনীতি থাকলেও থাকতে পারে, বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এটা সত্যি ওই গেমসে আমরা স্বাগতিক হয়েও ভালো খেলতে পারিনি, ফুটবলপ্রেমীরা আশাহত হয়েছে। তবে ওই ব্যর্থতার পর আরও কিছু ঘটনাও ফুটবলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে- এক খেলোয়াড়, এক লিগ, জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট ও পুল প্রথা। 

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নের কোনো সম্ভাবনা দেখেন?
মুন : আমি ক্ষুদ্র মানুষ এবং তৃণমূলের সংগঠক। এই মন্তব্য করার মতো বিশেষজ্ঞ নই। তবে ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি ফেডারেশনের শীর্ষ নীতি-নির্ধারকদের সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। শুধু বাফুফে ভবনে এসে চিন্তা করে চালালে হবে না। জেলায়-জেলায় গিয়ে সবার সুখ-দুঃখ শুনে সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এরপর সেটার সঠিক বাস্তবায়ন ও তদারকি করতে পারলেই কিছুটা (উন্নয়ন) সম্ভব। 

এজেড/এফআই