সম্প্রতি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর পারিবারিক দোকানে গুলি চালানোর পর আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে হুমকি দিয়ে রেখেছে হামলাকারীরা। যেখানে ‘মেসির জন্য তারা অপেক্ষায় থাকবেন’ লেখা একটি চিরকুটও রেখে যান। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই মেসি ও তার পরিবারের জীবন-যাপনে বেশ প্রভাব পড়ার কথা। যেমনটা মনে করেন মেসির সাবেক সতীর্থ গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ। তার মতে, এই হামলা মোটেও হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় নয়। তাই মেসি যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করে তারপর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন।

গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার (স্থানীয় সময়) দিকে আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে গুলি চালানোর ওই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে দুজন লোক মোটরসাইকেলে করে সেই দোকানের সামনে আসেন। পরে তাদের একজন নিচে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। তবে দোকানের দরজা বন্ধ থাকলেও সেটি ভেদ করে ভেতরের গ্লাসও ভেঙে যায়।

পরে হামলাকারীরা একটি চিরকুট ফেলে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে তারা মেসিকে হুমকি দিয়ে লেখেন, ‘মেসি আমরা তোমার অপেক্ষায় আছি। জাভকিন (রোজারিওর মেয়র) একজন মাদক চোরাকারবারি। সেও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।’

এদিকে, মেসির শৈশবের ক্লাব নিউওয়েল ওল্ড বয়েজের কোচ গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ বলেন, ‘এই হামলা মোটেই হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় নয়। লিও চিন্তায় রয়েছে। ও কবে দেশে ফিরবে সেটা এখনও ঠিক করেনি। এই পরিস্থিতিতে ফেরা সহজ নয়।’২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে মেসির এই সতীর্থ আরও বলেন, মেসির পরিবারের ওপর এই হামলা হয়েছে বলে হয়তো কথা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। রোজারিওর মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা আরও অনেক ফুটবলারের পরিবারের ওপর হামলা করেছে। তারা তো ফিরতেও পারছে না।’

এদিকে, রোজারিওর মেয়র জাভকিন বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মেসির ওপর আক্রমণের ঘটনার খবরের থেকে আর কিছু দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে না। ঠিক সেটাই হয়েছে। আমি আন্তোনেল্লার সঙ্গে কথা বলেছি। এই ঘটনায় ওরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও বলেন, শহরে এমন হামলার ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে আরও পুলিশ নিয়োগের দরকার রয়েছে।’

আগামী ২৩ মার্চ পানামা এবং ২৮ মার্চ কুরাকাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথমবার মাঠে নামার কথা রয়েছে। প্রথম ম্যাচটি হবে বুয়েনস আইরেসে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে সান্তিয়াগো দেল এস্তোরো প্রদেশে। দেশের হয়ে এই দুটি ম্যাচে মেসি অংশ নেন কি না সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। 

এফআই