ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন ফেডারেশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বরাবর পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন তিনি।ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি সহ সকল স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন মুন। চিঠির অনুলিপি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই পাঠিয়েছেন তিনি। 

পদত্যাগ করার পেছনে ব্যক্তিগত কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মুন। চিঠিতে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করলেও মূলত তিনি ফেডারেশনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে নাখোশ এবং বিশেষত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাপটে নির্বাচিত কর্মকর্তারা প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা না পাওয়া নিয়ে তাঁর যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা গেছে। বছর তিনেক আগে বাফুফে ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশাধিকার নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন মুন।

আশি-নব্বইয়ের দশকের তারকা ফুটবলার মুন। ব্রাদার্স ইউনিয়নে অনেক সময় কাটিয়েছেন খেলোয়াড়ী জীবনে। ১৯৯৩ সালে সাফ গেমসে জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন৷ খেলা ছাড়ার পর নিজ জেলা নীলফামারীর ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সাল থেকে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন মুন৷ ২০২০ সালের বাফুফে নির্বাচনে তিনি বাদল রায়ের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। কাজী সালাউদ্দিনের চতুর্থ মেয়াদে তাকে তেমন সক্রিয় দেখা যায়নি।

এর আগেও সদস্যের পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে বাফুফুতে। ফেডারেশনের কর্মকাণ্ডে নাখোশ হয়ে ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করেছিলেন নির্বাহী সদস্য শেখ আসলাম। বাফুফে নির্বাহী কমিটি সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। এখন দেখার বিষয় মুনের পদত্যাগপত্র নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে।  

বাফুফে নির্বাহী কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট। সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, চার সহ-সভাপতি ও সদস্য ১৫ জন। কমিটির মেয়াদ ৪ বছর। ২০২০ সালের অক্টোবর কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব নেন। চতুর্থ মেয়াদেও আড়াই বছর শেষ। মুনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে শুন্য পদে নির্বাচন হতে পারে আবার বাকি দেড় বছর শুন্যও রাখতে পারে। সিরাজুল ইসলাম বাচ্চুর মৃত্যুর পর তার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি বাকি মেয়াদে।

এজেড/এইচজেএস