ঘুরে দাঁড়ানো অবিশ্বাস্য জয় আর্সেনালের
পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানির দল বোর্নমাউথের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল শীর্ষে থাকা আর্সেনাল। টানা জিততে থাকা গানাররা স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে ছিল। ফলে কোনো অঘটনই কারও ভাবনাতে আসে। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই দ্বিগুণ ব্যবধানে পিছিয়ে খাঁদে পড়ার দশা হয় মিকেল আতের্তা শিষ্যদের। যেন ‘পচা শামুকে পা কাটতে’ নেমেছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর দৃশ্যপটটা ছিল অবিশ্বাস্য। ফুটবলের পরতে পরতে কত রোমাঞ্চ, রাত জেগে খেলা দেখা ভক্তরা তা আরও একবার টের পেল!
এমিরেটস স্টেডিয়াম সেই রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচের স্বাক্ষী হয়ে থাকল। ঘরের মাঠে উড়তে থাকা আর্সেনালকে হার এড়াতে বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। শুধু সমতায় ফিরতেই তাদের পার করতে নির্ধারিত সময়। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ে আসে সেই অবিশ্বাস্য জয় নির্ধারণী গোল। সবশেষে তারা ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
বিজ্ঞাপন
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে গানারদের ওপর জেঁকে বসেছিল বোর্নমাউথ। শেষ ১১ ম্যাচে তারা মাত্র একটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে। তাই হয়তো পুরো জয়ের তৃষ্ণা তারা আর্সেনালকে দিয়ে মেটাতে চেয়েছিল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই তারা লিড নেয়। তাও কিকঅফের মাত্র ৯ সেকেন্ডের মাথায় ফিলিপ বিলিংয়ের গোল। তবে পিছিয়ে পড়েও আর্সেনাল দারুণ পাসিং ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে। কিন্তু মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও বল জালে পৌঁছাতে পারেননি তারা। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেও গোল শোধ করার চেষ্টা করতে থাকে আর্তেতার শিষ্যরা। কিন্তু সফল হওয়া তো দূরে থাক, ৫৭ মিনিটে তারা দ্বিগুণ ব্যবধানে পিছিয়ে যায়। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কাস সেনসি হেডে গোলের পর মৌসুমের ষষ্ঠ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বোর্নমাউথ। তবে আর্সেনালের ডেডলক ভাঙেন দুই বদলি খেলোয়াড়ের কল্যাণে। ৬২তম মিনিটে প্রথম ব্যবধান কমান আর্সেনালের ঘানাইয়ান ফুটবলার টমাস পার্টি। মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে আরও একবার বল জালে জড়ান তার সতীর্থরা। এবার গোল করেন উইলিয়াম হোয়াইট।
তবে তাদের আক্রমণের ধার বজায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে আর্সেনালকে। এর আগে ২০১২ সালে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচ জিতেছিল আর্সেনাল। উত্তর লন্ডন ডার্বিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫–২ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল টটেনহামকে। কিন্তু এবারও তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তা কারও কল্পনাতেও ছিল না। কিন্তু আসল রোমাঞ্চ তো অতিরিক্ত সময়ের জন্য তুলে রাখা। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে বাঁ-পায়ের বুলেট গতির শটে দলকে জিতিয়ে প্রত্যাবর্তনকে তো স্মরণীয়ই করে রাখলেন নেলসন। অথচ তিনি দলেই হয়ে পড়েছিলেন অনিয়মিত।
এই ম্যাচ জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আবারও পাঁচে নিয়ে গেল আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা আর্তেতার দলের পয়েন্ট ৬৩, গার্দিওলার সিটির পয়েন্ট ৫৮।
এএইচএস