এক মাস আগেই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিলেন শামসুন্নাহাররা। এবার চার সপ্তাহের ব্যবধানে এশিয়ান বাছাইয়ের মঞ্চে যাচ্ছেন ছোটনের শিষ্যরা। ৮-১২ মার্চ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অ-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই। এতে আট গ্রুপের সেরা দলগুলো খেলবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। পরবর্তীতে আগামী বছরের মার্চে উজবেকিস্তানে মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। 

পরবর্তী রাউন্ডে খেলার আশাবাদ ব্যক্ত করে ছোটন বলছেন, ‘তুর্কমেনিস্তান ও ইরান শক্তিশালী, কিন্তু আমাদের মেয়েদের সাম্প্রতিক সময়ের যে পারফরম্যান্স, আমরা জয়ের প্রত্যাশা করছি। সম্প্রতি আমাদের মেয়েরা সাফে ভালো ফুটবল খেলেছে, আমরা ভালো ফলের আশা করতেই পারি। দুটি ম্যাচ জিতে আশা করি পরের রাউন্ডে যেতে পারবো।’ 

ইরান (৬৮) ও তুর্কমেনিস্তান (১৩৭) ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৪০তম) চেয়ে এগিয়ে। যদিও এটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট। ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশ ১০ মার্চ নিজেদের প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে। দুই দিন পর খেলবে ইরানের বিপক্ষে।

সাফ অ-২০ দল থেকে এই দলে দুটি পরিবর্তন আছে, ইতি রানীর জায়গায় স্বর্ণা রানী আর আফরোজা আক্তারের বদলে তৃষ্ণা রানী ঢুকেছেন। অধিনায়ক হিসেবে সাফে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন শামসুন্নাহার। এবার বাছাইয়ের প্রথম ধাপ পেরোনোর স্বপ্ন তার কন্ঠে, ‘সাফে চ্যাম্পিয়নশিপের পর আমরা অনুশীলন করেছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে দুই ম্যাচ জেতা। দুই দলই শক্তিশালী, কিন্তু আমরাও ফিটনেসে এগিয়ে আছি। দেশবাসী যেন আমাদের জন্য দোয়া করে, আমরা যেন পরের রাউন্ডে যেতে পারি।’ 

বাংলাদেশ দল : রুপ্না চাকমা, সাথী বিশ্বাস, স্বর্ণা রানী মন্ডল, সুরমা জান্নাত, আফেইদা খন্দকার, নাসরিন আক্তার, কোহাতি কিসকু, ইতি খাতুন, উন্নতি খাতুন, স্বপ্না রানী, সোহাগী কিসকু, মাহফুজা খাতুন, নৌসুন জাহান, রিপা, রেহেনা আক্তার, শামসুন্নাহার জুনিয়র, হালিমা আক্তার, তৃষ্ণা রানী, শাহেদা আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন, আনিকা তাঞ্জুম, আইরিন খাতুন ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।

এজেড/এএইচএস