লিগ ওয়ানের সর্বশেষ ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তার আগে লিওনেল মেসিদের মনে ৩-৩ গোলে সমতায় নিয়েই ম্যাচ শেষ হওয়ার শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কার কালো মেঘ সরে যায় অতিরিক্ত সময়ে নেওয়া মেসির দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে। সেই কিক নেওয়ার সময় মেসির ডান পায়ের গোড়ালি প্রায় ভেঙেই গিয়েছিল!

তবে ভক্তদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই! মেসি তার নন-কিক পা এমনভাবে বাঁকিয়ে ছিলেন, যাতে কিক নেওয়ার পর বলটা একটু বেশিই বাঁক খায়। এতেই মূলত জয় নির্ধারণী নিখুঁত এক গোল পেয়ে যায় ফরাসি জায়ান্টরা। দুরু-দুরু বুকে দেখতে থাকা ম্যাচটিও পিএসজি নাটকীয়ভাবে জিতে যায়।

লিলের বিপক্ষের সেই ম্যাচটি জিততেই হতো প্যারিসিয়ানদের। কেননা মৌসুমটা মেসিরা ব্যাপক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে পার করছিল। ফরাসি কাপ থেকে বিদায়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হার তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। এর সঙ্গে যোগ হয় ম্যাচের মাঝপথে পাওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের চোট। মেসির সফল ফ্রি-কিক সেসব দুশ্চিন্তা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিয়েছে!

কিন্তু মেসির নেওয়া ফ্রি-কিকের ধরন দেখে কিছুটা দুশ্চিন্তা হয়েছিল ভক্তদের। কারণ, বাঁ পায়ে শট নেওয়ার সময় মেসির ডান পা বেশ নাজেহালভাবেই বেঁকে যায়। দেখে মনে হয়েছিল তার ডান পা ভেঙে গেছে কিনা! তবে পরে জানা যায়, এটি ছিল শটটি নিখুঁত করার একটি কায়দা। এতে বল খানিকটা বেশি বাঁক খেয়ে গোলরক্ষককে সহজেই ফাঁকি দিতে পারে।

এভাবে শট মারতে গেলে গোড়ালি মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দীর্ঘ দিনের অধ্যবসায়ের পরেই কোনো ফুটবলার এভাবে শট মারতে পারেন। ম্যাচের শেষে তার ফ্রি-কিকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে ভক্তদের কেউ কেউ বলছেন, ‘মেসির পা এই গ্রহের নয়। ভিনগ্রহের জীবরা এসে দিয়ে গেছেন।’ আবার কেউ আবার লিখেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, লিওর পায়ে হাড় নেই। নইলে এভাবে শট মারা যায় না।’

এছাড়াও, ভক্তরা এ দাবিও করেছেন, ‘এই কারণেই মেসিকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলা হয়। কারণ, এই শট তিনিই একমাত্র মারতে পারেন।’

শেষপর্যন্ত ম্যাচটিতে ৪-৩ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসি-এমবাপেরা। এদিন এমবাপে দলের হয়ে জোড়া গোল এবং নেইমার করেন একটি গোল। যদিও অ্যাঙ্কলের চোট নিয়ে ম্যাচের বেশ কিছু সময় বাকি থাকতেই নেইমার মাঠ ছেড়েছেন। এতে পায়ের কয়েকটি লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার। যা নিয়েই আপাত দুশ্চিন্তা পিএসজির!

এএইচএস