লাইপজিগ-ম্যান সিটির সমান লড়াইয়ে জয় পায়নি কেউ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লাইপজিগের মাঠে হোঁচট খেয়েছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের দুই অর্ধ যেন ভাগ করে খেলবে, এমন মানসিকতা নিয়েই দু'দল নেমেছিল! প্রথমার্ধ সিটির পর বাকি অংশের দখল ছিল জার্মান ক্লাব লাইপজিগের। এমনকি তারা গোল শোধ করার পরও চাপে থাকা সিটিকে উদ্ধারে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেননি পেপ গার্দিওলা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের মাঠে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য করে সিটি। পথ খুঁজতে থাকে লাইপজিগের রক্ষণ ভাঙার। তবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ১৫ মিনিটে সেভাবে সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু রক্ষণের ভুলে ২৭তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে জার্মান ক্লাব লাইপজিগ।
বিজ্ঞাপন
লাইপজিগ খেলোয়াড়দের হারানো বল ধরে জার্মান মিডফিল্ডার গুনদোয়ানকে পাস দেন জ্যাক গ্রিলিশ। গুনদোয়ানের ফ্লিক থেকে রিয়াদ মাহরেজ এবং সেখান থেকে স্পট কিক সমান দূরত্বে নেওয়া শট জালে জড়ান তিনি। সেই লিড দ্বিগুণ হতে পারত পরের তিন মিনিটেই। কিন্তু কর্নারে আসা বলে রদ্রি মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন।
বিরতির আগপর্যন্ত টানা আক্রমণ চালিয়ে যায় গার্দিওলার শিষ্যরা। গ্রিলিশ ৩৬তম মিনিটে ডি-বক্স থেকে শট নেন। কিন্তু সেটি বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে। চার মিনিট পর আরেকটি কর্নারে সুযোগ আসে রদ্রির সামনে। এবার মাথা ছোঁয়াতে পারলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। বিরতির আগে যোগ করা সময়ে প্রথম কোনো শট লক্ষ্যে রাখে জার্মান ক্লাবটি। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি ঠেকান সিটি গোলরক্ষক এডারসন। ফলে ১-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধ যেন লাইপজিগ একাই খেলতে নামে! বিরতির আগে দাপট দেখানো সিটিকে এরপর চেপে ধরে তারা। প্রথম দুই মিনিটেই তারা দু'বার সিটির রক্ষণ ভেঙে দেয়। তবে একটুর জন্য হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেঞ্জামিন হ্যানড্রিকস। ৫৫তম মিনিটে জার্মানির এই ডিফেন্ডারের আড়াআড়ি শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে। সিটিও হাফ ছেড়ে বাঁচে।
পায়ের কারিকুরিতে ৬৩তম মিনিটে আন্দ্রে সিলভার দারুণ চেষ্টা সিটি গোলরক্ষক ব্যর্থ করে দেন। এর মিনিট পাঁচেক পর দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম সুযোগ পায় সিটি। প্রতি আক্রমণের পর শটটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আর্লিং হলান্ড।
৭০তম মিনিটে আবারও সিটির পোস্টে লাইপজিগের শট। তবে এবারও কর্নার বানিয়ে গোল ঠেকান এডারসন। এরপর কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্রোয়াট ডিফেন্ডার গাভারদিওল সবার উঁচুতে লাফিয়ে হেড দিয়ে গোলের সমতায় ফেরান। গোল হজমের পর কিছুটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সিটি। তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় লাইপজিগও। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সিটির সর্বশেষ আক্রমণ লাইপজিগ গোলরক্ষক রুখে দেন।
আগামী ১৪ মার্চ সিটির মাঠে ফিরতি লেগে দুই দলের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
এএইচএস