গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। টানটান উত্তেজনার সে ম্যাচে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো শিরোপার স্বাদ পায় রিয়াল। ইউরোপসেরার লড়াইয়েই এবার আরও একবার লিভারপুলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে লস ব্লাঙ্কোসরা। এবারের লড়াইটা অবশ্য শিরোপার নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।  

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় অ্যানফিল্ডে গড়াবে রিয়াল-লিভারপুলের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের লড়াই। 

গত মৌসুমের সঙ্গে এবারের চিত্রের অবশ্য তেমন একটা মিল নেই। সেবার স্প্যানিশ জায়ান্টদের অনেক ম্যাচেই হেসেখেলে গোল করেছিলেন ফ্রেঞ্চম্যান করিম বেনজেমা। এছাড়া ভিনিসিয়াস জুনিয়রও ছিলেন সেরা ফর্মে। মধ্যমাঠে মাদ্রিদের ক্লাবটির তিন তারকা ক্রোয়েশিয়ান লুকা মদ্রিচ, জার্মান টনি ক্রুস এবং সেলেসাও কাসেমিরো ত্রয়ীর রাজত্ব চলছিল। ফাইনালে সবাইকে ছাড়িয়ে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্ত্তয়া। 

এবারের চিত্রটা বেশ ভিন্ন। নানান বাধায় লা-লিগার শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। তাই গুঞ্জন চলছে, প্রিমিয়ার লিগের আটে থাকা লন্ডনের লিভারপুলকে অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় তাই বড় কোনো পরীক্ষার সম্মুখীনই হতে হচ্ছে না।

মোটামুটি দুর্দশায় আছে রিয়াল মাদ্রিদ। আনচেলত্তির কৌশল কাজ করছে না, লিগে বার্সেলোনা থেকে পিছিয়ে আছে আট পয়েন্ট। কাসেমিরো চলে গেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ফুলব্যাক নিয়ে সমস্যায় আছেন আনচেলত্তি। রাইটব্যাক দানি কারভাহাল চোট ও ক্লান্তিতে অবসাদগ্রস্ত গত মাসজুড়েই। রাইটব্যাক ডেভিড আলাবা সামলাবেন সালাহকে। বিপর্যস্ত হয়ে আছে রিয়ালের মাঝমাঠ। খেলতে পারছেন না অরিলিয়ে শুয়ামেনি। মধ্যমাঠে এমন একটি জুটি খেলতে চলেছে, যারা আগে কখনও একসাথে মাঠেই নামেননি।

অন্যদিকে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য লিভারপুল, যেকোনো সময় খেলার ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে পারেন সালাহরা। দর্শক সমর্থন, চেনা মাঠ ও অন্যসব বিবেচনায় অ্যানফিল্ডে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে না জার্গেন ক্লপের শিষ্যদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাল্লা তাই স্বাগতিকদের দিকেই ভারি।