নারী ফুটবলে আরেকটি ইতিহাস
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম। এই সময়ে আবারও সুখবর এনে দিল নারী ফুটবলই। সালমা আক্তার প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এএফসি এলিট প্যানেলে প্রবেশ করেছেন।
নারী রেফারিংয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন বাংলাদেশের ফিফা সহকারী রেফারি সালমা আক্তার। প্রথম নারী হিসেবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন সালমা। আজই এএফসি থেকে সালমার এলিট কোটার নিশ্চয়তা আসে।
বিজ্ঞাপন
বছর তিনেক আগে ফিফা ব্যাজ পেয়েছিলেন সালমা। এরপর থেকে চলছিল এলিটে যাওয়ার সংগ্রাম। রেফারিদের অনেকেরই এলিটে প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয় ফিটনেস। গতবারের মতো এইবারও সেই বাধা পেরিয়েছিলেন সালমা। গতবার ম্যাচ পরিচালনায় কিছুটা স্কোর কম পেয়েছিলেন। এবার ম্যাচ পরিচালনায় তুলনামূলক ভালো করায় বেশ আশাবাদী ছিলেন সালমা, ‘এবার থিওরি, গেম পরিচালনা, ফিটনেস সব কিছুই ভালো হয়েছিল। আশায় ছিলাম এলিটে যাব। শেষ পর্যন্ত এলিটে যেতে পেরেছি এটা দারুণ খবর।’
জয়া চাকমা প্রথম ফিফা নারী রেফারি হয়েছিলেন। সালমা ছিলেন সহকারী ফিফা নারী রেফারি। জয়া গত কয়েক বছর এলিটে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিবারই ফিটনেস টেস্টে বাধা পড়েছেন। সালমা এবার সকল কিছু অতিক্রম করে নারী রেফারিতে নতুন মাইলফলক করলেন।
গত মাসে মালয়েশিয়া এএফসি এলিটের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ থেকে নাসির, জয়া ও সালমা গিয়েছিলেন। এর মধ্যে একমাত্র সালমাই এলিট হতে পেরেছেন। এলিট কোটায় প্রবেশ করায় সালমা এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের নারীদের প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে পারবেন।
বাংলাদেশে রেফারিদের মধ্যে এএফসির এলিট প্যানেলে দীর্ঘদিন ছিলেন তৈয়ব হাসান বাবু। তার অবসরের পর কোনো রেফারি আর এলিটে জায়গা করতে পারেননি। মনির ঢালী সহকারী রেফারি হিসেবে এলিট প্যানেলে আছেন কয়েক বছর। সালমা নতুন করে প্রবেশ করায় এএফসি এলিটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব হলো দুই জন।
এজেড/এনইআর