প্রায়শই আর্থিক বিষয়ে খবরের শিরোনাম হয় দেশের শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক কিছু বিষয়ে বাফুফের কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ফিফার চিঠি এসেছিল। সেই ইস্যুতে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ আর্থিক বিভাগের কর্মকর্তারা ফিফার সদর দফতর জুরিখে গিয়েছেন বলে জানা গেছে বাফুফের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রে।

সোহাগের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে জানতে মুঠোফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেলেও সামাজিক অ্যাপসে পাওয়া গিয়েছিল। সামাজিক অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করলেও রিসিভ করেননি ‍তিনি।

আর্থিক বিষয়ে সাধারণ সম্পাক আবু নাইম সোহাগ ফিফায় বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছ থেকে প্রথম জানলেন ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ‘তার সঙ্গে আমার সংসদীয় কমিটির সভায় দেখা হয়েছে। এরপর আর যোগাযোগ নেই। তার অবস্থান সম্পর্কে আমার জানা নেই।’ বাফুফে সচিবালয়ে সোহাগের অবস্থান সম্পর্কে কেউ বলতে পারেননি। গতকাল তাকে বাফুফে ভবনে দেখা যায়নি।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ২০০৯ সাল থেকে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আল মুসাব্বির সাদী পামেলের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আবু নাইম সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পরিচালনার পর ২০১৩ সাল থেকে সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব পান। বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হলেও ফেডারেশনের নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়নসহ সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন তিনি। 

ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভও শোনা যায়,‘নির্বাচিত কর্মকর্তাদের চেয়ে সাধারণ সম্পাদকের ক্ষমতাই বেশি’। এজন্য বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি অতিমাত্রায় নির্ভরতাই কারণ বলে মনে করেন কমিটির অনেকে। 

ফেডারেশনের বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে অফিসের সূচিতে মিটিংয়ের কথা বলে বাইরে থাকেন সাধারণ সম্পাদক। সন্ধ্যার দিকে ভবনে প্রবেশ করে রাত ৯-১০ টা পর্যন্ত অফিস করেন। সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতির জন্য তখন অন্যদেরও অফিসে থাকতে হয়। এ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে বাফুফে প্রশাসনে।

 এজেড/এফআই