আরেকটি দুঃস্বপ্নের রাত পিএসজির। একের পর এক হারতে থাকা প্যারিস জায়ান্টসরা এবার ঘরের মাঠেও পরাজয়ের বৃত্তেবন্দি। ক্লাবের সেরা তিন তারকা লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপেত্রয়ীকে নিয়েও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জিততে পারল না পিএসজি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্নের বিপক্ষে তাদের হার ১-০ গোলে।

নতুন বছরটা ভালো যাচ্ছে না পিএসজির। লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ইনজুরি জুজু। সেই সঙ্গে মাঠের পারফরম্যান্সেও ব্যর্থ পিএসজি তারকারা। সবশেষ মোনাকোর বিপক্ষে ম্যাচে হারের পর সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়ায় ঝড়িয়ে ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছিলেন নেইমার। প্রশ্ন উঠছিল খেলোয়াড়দের ডেডিকেশন নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাই-ভোল্টেজ দ্বৈরথেও আরও একবার বিবর্ণ পিএসজিরই দেখা মিলল। 

ঘরের মাঠে বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি মেসি-নেইমাররা। পার্ক দেস প্রিন্সেসে বল পায়ে প্রথম মিনিট থেকেই পিএসজির ডি-বক্সের আশপাশ থেকে হুমকি তৈরির চেষ্টা করে জার্মান ক্লাবটি। বায়ার্নের হাই-প্রেসিং ফুটবলের সামনে থিতু হতে কিছুটা সময় লাগে মেসি-নেইমারদের। 

মেসির চোখেমুখে হতাশা

শুরুতে মেসি একাধিক আক্রমণ তৈরি করলেও, তা আলোর মুখ দেখেনি। বায়ার্ন রক্ষণের আশপাশে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে সেই প্রচেষ্টাগুলো। ফিনিশিং নিয়ে অবশ্য ভুগতে হচ্ছিল বায়ার্নকেও। চাপ তৈরি করেও তাই পিএসজিকে বিপদে ফেলতে পারছিল না তারা। এক্ষেত্রে স্বাগতিকদের রক্ষণকেও কিছুটা কৃতিত্ব দিতে হয়। সুযোগ পেয়ে প্রায় গোল করতে যাচ্ছিলেন জামাল মুসিয়ালা। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন সার্জিও রামোস। এরপর আরও কয়েকবার গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় বায়ার্ন। বিপরীতে পিএসজি ছিল ব্যাকফুটে। প্রথমার্ধে তারা একমাত্র সুযোগটা পায় ৪৫ মিনিটে। ডি-বক্সের একটু দূর থেকে মেসির নেওয়া ফ্রি-কিক অবশ্য ফিরে আসে রক্ষণভাগ থেকে। ফলে গোলশূন্য বিরতি টানে উভয় দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায় বায়ার্ন। আলফনসো ডেভিসের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগান কিংসলে কোম্যান। এগিয়ে যাওয়ার পরও পিএসজিকে চাপে রেখে খেলতে থাকে তারা। ৬২ মিনিটে অল্পের জন্য আরেকটি গোল হজম থেকে রক্ষা পায় মেসিরা। 

দলকে বাঁচাতে পারেননি শেষ দিকে নামা এমবাপেও।

ইনজুরিতে পড়া এমবাপের খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নেমে পড়েন তিনিও। দলকে সমতায়ও ফিরিয়েছিলেন ফরাসি এ তারকা। কিন্তু অফসাইডের কারণে তাদের সেই গোল বাতিল করে দেন ম্যাচ রেফারি। এরপর আরও একবার অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হয় গালটিয়ের শিষ্যরা। যোগ করা সময়ে মেসিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন পাভার্ড। কোনো বিপদ যদিও হয়নি সফরকারীদের।

আগামী ৮ মার্চ বায়ার্নের মাঠে হবে ফিরতি লেগ।

এফআই