কাতার বিশ্বকাপে মাঠের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল সৌদি আরব। প্রথম ম্যাচেই লিওনেল মেসিদের হারিয়ে দিয়েছিল তারা। আরও একবার অঘটন ঘটাতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তবে এবার মাঠের বাইরে লড়াইয়ে। 

২০৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে আর্জেন্টিনাসহ লাতিন আমেরিকার চার দেশ। অন্যদিকে, সৌদি আরবও আয়োজক হওয়ার দৌড়ে নামতে পারে বলে আভাস মিলেছে। আর সেখানেই বাজিমাত করতে পারে তারা।

সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’তে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে গ্রিস ও মিসর। তাদের সঙ্গে তৃতীয় দেশ হিসেবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি। বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেলেও স্টেডিয়াম তৈরি করা থেকে অন্য পরিকাঠামোর খরচ চালানো গ্রিস ও মিসরের পক্ষে বহন করা কষ্টকর হতে পারে। আর সেখানেই সহযোগী হতে চায় সৌদি। তারা প্রস্তাব দিয়েছে, দুই দেশে স্টেডিয়াম তৈরি করে দেবে। তার বদলে একটি শর্তও রয়েছে। বিশ্বকাপের ৭০ শতাংশ খেলা সৌদিতে আয়োজন করতে হবে।

এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মৌখিক কথাবার্তা হয়েছে দেশগুলোর মধ্যে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্ম বিন সালমান প্রস্তাব দিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিটসোটাকিসকে। তিনটি দেশ তিনটি আলাদা মহাদেশে অবস্থিত। এশিয়াতে সৌদি আরব, গ্রিস ইউরোপে ও মিসর আফ্রিকায়। তাই তিনটি মহাদেশ থেকেই ভোট পাবে বলে আশা করছে তারা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে ফিফার হাতে। 

যদিও আয়োজক হওয়ার দৌড়ে ইউরোপের দুই দেশ স্পেন ও পর্তুগাল এবং লাতিন আমেরিকার চার দেশ আর্জেন্টিনা,  চিলি, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সঙ্গে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এখন দেখার বিষয় কে কাকে টেক্কা দেয়। আয়োজক নির্ধারিত হবে ২০২৪ সালে।

২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসেছিল ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র জমজমাট আসর। এরই মধ্যে জানা গেছে, পরবর্তী তথা ২০২৬ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। 

এফআই