কিছু দিন পরপরই বাফুফের আর্থিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। এবার বাংলাদেশের সাবেক কোচ জেমি ডের দাবি তার বেতন-ভাতা পরিশোধে বিলম্ব করায় ফিফা বাফুফেকে ডেভলপমেন্ট খাতে অনুদান স্থগিত করেছে। জেমি ডের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ আর্থিক অনুদান প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ফিফা থেকে সকল অনুদানই গ্রহণ করছি। জানুয়ারি মাসেও পেয়েছি। আমাদের কোনো অনুদান স্থগিত হয়নি।’ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক এই মন্তব্য করলেও জেমি ডের দাবি, ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ফিফা বাফুফেকে জেমির পাওনা পরিশোধের কথা বলেছিল। ডেডলাইন অমান্য করায় বাফুফেকে ফিফার বরাদ্দকৃত ডেভেলপমেন্ট খাতের অর্থ স্থগিত করা হয়েছে। 

জাতীয় দলের সাবেক ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে বাফুফের কাছে ৮৬ হাজার ডলার পাওনা রয়েছে। ফিফার বরাদ্দ স্থগিতের বিষয়ে জেমির দাবি অসত্য বললেও তার পাওনা প্রদানে ঠিকই সচেষ্ট বাফুফে, ‘আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংকেও এই অর্থ পরিশোধের জন্য আবেদন করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি পাওয়ার পর জেমি ডের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করা হবে।’  

জেমি ডের সঙ্গে বাফুফের দ্বিতীয় মেয়াদে দুই বছরের চুক্তি ছিল। তাকে মেয়াদের আগে চাকরিচ্যুত করলেও পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। এজন্য জেমি ফিফায় আবেদন করে। ফিফা বাফুফেকে জেমির পাওনা সহ জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দেয়। বাফুফে জেমির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আপিল করেনি, আবার জেমির পাওনা শোধও করেনি। 

এজেড/এনইআর