ফুটবল ভক্তদের জন্য বিশেষ দিন আজ
প্রিয় খেলোয়াড়ের জন্মদিন নিয়ে ভক্তদের মাঝে উৎসাহের কমতি নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন পছন্দের ক্রীড়াবিদের যেকোনো আপডেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতিমুহূর্তেই। তবে আজকের দিনটা ফুটবল ভক্তদের জন্য বিশেষ কিছুই। ফুটবল পায়ে স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়া তেমনি কয়েকজন তারকার জন্মদিন আজ। নামগুলো এত বিখ্যাত যে, তাদের যে কোনো একজনের জন্মদিনটাই ফুটবলের জন্য বড় এক উপলক্ষ।
হালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, ব্রাজিলিয়ান নেইমার জুনিয়র কিংবা নিকট অতীতে অবসর নেওয়া আর্জেন্টাইন কার্লোস তেভেজ। তিনজনেরই জন্মদিন আজ। কেবল তারাই নন, ইতিহাসের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ইতালির সিজারে মালদিনি, রোমানিয়ার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার গিওর্গি হ্যাজিও একই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেন। কোচিংয়ে খ্যাতি পাওয়া সাবেক সুইডিশ রাইটব্যাক সোয়েন-গোরান এরিকসনের আগমনী সময়ও একই।
বিজ্ঞাপন
ফেইসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামের যুগে আলাদা করে ফুটবলারদের জন্মক্ষণ মনে রাখার দরকার নেই। শুভ এই দিনের শুরু থেকেই প্রতিটি ভক্তের দেয়াল একেকটা উদযাপনের মঞ্চে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন : ‘মাত্র ৬ মাস বয়সেই নিভতে পারতো নেইমারের জীবনপ্রদীপ’
পর্তুগিজ সুপারস্টার সিআরসেভেনের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। বহুদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের তকমা গায়ে জড়িয়ে তিনি জাতীয় দল ও ক্লাব থেকে ক্লাবে খেলে চলছেন। বিশ্ব ফুটবলে জাদুকরি সব মহাকাব্যে প্রতিদ্বন্দ্বী মহাতারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে একের পর এক রেকর্ডের ভাঙায় মগ্ন তিনি। সঙ্গে আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর এবং অজস্র গোলের ফুলঝুরি।
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ১৯৯২ সালের এইদিনে নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়রের জন্ম। তার আবির্ভাব সর্বকালের সেরাদের মধ্যে যাওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এখনো সেখানে যেতে পারেননি, তবে সময়ও শেষ হয়ে যায়নি। নিজের সময়ের সেরাদের মধ্যে অবশ্যই থাকবেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। ইনজুরি আর বেখেয়ালি দুরন্তপনার কারণে এখনো প্রতিভার পুরোটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের কুখ্যাত এলাকা ফোর্ট অ্যাপাচি’র এক বস্তিতে ১৯৮৪ সালের এইদিনে কার্লোস তেভেজের আগমন। ‘নতুন ম্যারাডোনা’ হওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তার শুরুটা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আরও অনেক আর্জেন্টাইনের মতো তিনিও সেটা হতে পারেননি। তবে নিজের সময়ে তিনি ক্লাব ও জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন।
আরও পড়ুন : ‘এবার রোনালদোর সাবেক সতীর্থ বললেন মেসি ‘তুলনাহীন’
১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইতালিতে জন্ম নিয়েছিলেন সিজারে মালদিনি নামের একজনও। ১৯৬৩ সালে মিলানকে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ এনে দিয়ে অধিনায়ক মালদিনি ক্লাবটির প্রতীক বনে যান। পরে কোচ হয়েও দুই দফায় মিলানের ডাগআউটে এসে জিতিয়েছেন উয়েফা কাপ, উইনার্স কাপ ও ইতালিয়ান কাপ। মিলানের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারদের তালিকা করলে ছেলে পাওলোর সঙ্গে সিজারেকেও রাখতেই হবে।
‘কার্পেথিয়ানসের ম্যারাডোনা’ হিসেবে খ্যাত রোমানিয়ান গিওর্গি হ্যাজির জন্ম ১৯৬৫ সালের এইদিনে। হ্যাজি স্টুয়া বুখারেস্ট, রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার হয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। তাকে রোমানিয়ার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন বিবেচনা করা হয়। পরে নিজ দেশের জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনের অবসান হলে সাবেক সুইডিশ রাইটব্যাক সোয়েন-গোরান এরিকসনের খ্যাতি শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া এরিকসন ক্লাব ও জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে ‘সুইডিশ আইসম্যান’ খেতাব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ এবং সুইডেন, পর্তুগাল ও ইতালিতে ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
এএইচএস