পেলের নামে বদলে যাচ্ছে ব্রাজিলের কান্না মারাকানা
দুটো বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজন করেছে স্টেডিয়ামটা। রিও ডি জেনিরোর ‘মারাকানা স্টেডিয়াম’ অবশ্য ব্রাজিলিয়ানদের মনে স্থায়ী হয়ে থাকবে অন্য এক কারণে। ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনালে যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল এখানেই! চোখের জল ফেলে মাঠ ছেড়েছিলেন ভক্তরা। সেই থেকে সে ম্যাচটা পরিচিত ‘মারকানাজ্জো’ নামে। সে মারাকানার নাম বদলে যাচ্ছে অবশেষে। এখন থেকে কিংবদন্তি পেলের নামে পরিচিত হবে স্টেডিয়ামটি।
রিওর আইন প্রণেতারা ইতোমধ্যেই ১৯৫০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুটির নাম পরিবর্তনের জন্য অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন। এখন রিও ডি জেনিরো রাজ্যের গভর্নর ক্লদিও ক্যাস্ত্রো বিষয়টাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নাম পাবে স্টেডিয়ামটি। দুটো বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০১৬ রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা এই স্টেডিয়ামের নাম তখন হবে ‘দ্য এডসন আরান্তেস দ নসিমেন্তো-রেই পেলে স্টেডিয়াম’।
বিজ্ঞাপন
পর্তুগীজ ‘রেই’ শব্দটির অর্থ রাজা। ব্রাজিলে পেলের সম্মানটা রাজার চেয়ে কম কিছু নয় মোটেও। ৮০ বছর বয়সী কিংবদন্তি পেলে খেলোয়াড়ি জীবনে ব্রাজিলকে জিতিয়েছেন তিনটি বিশ্বকাপ শিরোপা। রাজার সম্মান তো পাওয়ারই কথা!
সেজন্যেই মারাকানা স্টেডিয়ামের নাম বদলানোর কথা ভেবেছে স্থানীয় সরকার। স্থানীয় রাজনীতিবিদ আন্দ্রে সেলিসিয়ানো, যিনি এই প্রস্তাবনা রেখেছিলেন রিওর আইন প্রণেতাদের কাছে, তিনি বলেছেন, ‘কিং পেলে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। এটা তার প্রতি একটা নিবেদন।’ তবে তিনি এটাও বিশ্বাস করেন যে, লোকমুখে মারাকানা স্টেডিয়াম থাকবে মারাকানা নামেই! তবে স্টেডিয়ামের নাম বদলালেও পুরো স্পোর্টস কমপ্লেক্সটা থাকবে আগের নামেই।
এনইউ/এটি