চমক দেখিয়ে সেমিফাইনালে আসা মরক্কোকে শুরুতেই গোল করে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু দারুণ ফুটবল খেলে এতোদূর আসা দলটা কী আর এমনি এমনি বিদায় নেবে! দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আক্রমণের জোয়ারে ভাসিয়েছেন হাকিমি-সোফিয়ানরা। আর এ সময় মাঝ মাঠের দায়িত্বটা সামলেছেন অ্যান্টনি গ্রিজমান। দায়িত্বশীল ফুটবল খেলে দলকে তুলেছেন শিরোপার মঞ্চে।

কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে বুধবার মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। দলের দারুণ এ জয়ে গোল না করেও বড় নায়ক গ্রিজমান। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও গেছে তার হাতে। 

মাঝ মাঠ ও আক্রমণভাগ থেকে শুরু করে রক্ষণভাগ, মরক্কোর বিপক্ষে যেন সবটাই সামলেছেন গ্রিজমান। রূপকথার গল্প লিখে সেমির মঞ্চে আসা মরক্কোকে যেন একাই বেধে রেখেছেন তিনি। শুরুতে গোল করে মরক্কোকে চাপে ফেলায়ও অবদানটা তার। পঞ্চম মিনিটের গোলে দুর্দান্ত প্লে মেকিং করেছেন তিনি।

রাফায়ের ভারানের থ্রু বল নিয়ে বক্সের ভেতর এমবাপেকে পাস দেন তিনি। তবে এমবাপে শট নিতে ব্যর্থ হলেও সেখান থেকেই বল পেয়ে গোল করেন থিও হার্নান্দেজ। এ তো গেল গোলের গল্প। পুরো ম্যাচে ফ্রান্সের বেশিরভাগ আক্রমণই মাঝ মাঠ থেকে গড়ে দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কোর এক আক্রমণে ডি-বক্সের মধ্যে বিপদ হতে পারতো এমন বলও ক্লিয়ার করেছেন তিনি।

সেমিফাইনালের লড়াইয়ে পুরো ৯০ মিনিটই মাঠে ছিলেন গ্রিজমান। গুরুত্বপূর্ণ পজিশন থেকে পাস খেলেছেন ২৬টি। তার মধ্যে ৮১ শতাংশ পাসই ছিল নিখুঁত। এছাড়া ম্যাচে ৪টি দুর্দান্ত ক্রসের পাশাপাশি বড় সুযোগও তৈরি করেছেন তিনি। গ্রিজমানের এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সে ভোর করেই ফাইনালের মঞ্চে উঠে গেছে গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।