বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে হেরে বসেছে পর্তুগাল। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে মরক্কানরা। ওদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাব্য শেষ সুযোগটাও শেষ হয়ে গেছে এই ম্যাচে। 

তবে এই ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে ম্যাচের রেফারিং। ম্যাচটা শেষ হতেই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে মিক্সড জোনে এসে আর্জেন্টাইন রেফারি ফাকুন্দো তেয়োকে একহাত নিলেন রীতিমতো। বললেন, ‘আমরা একটা গোল হজম করে বসেছিলাম, যে গোলটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে আমি এটা বলব যে, একজন আর্জেন্টাইন রেফারিকে আমাদের ম্যাচে দেওয়াটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য একটা সিদ্ধান্ত ছিল। গতকাল যা হয়েছে, মেসি যে কথা বলেছে, আর্জেন্টাইনরা তা নিয়ে কথা বলছে এখন; এরপর এই রেফারি এসে এখানে আমাদের ম্যাচে বাঁশি বাজালেন।’

আরও পড়ুন : ফুটবল তারকা : যাদের শৈশব কেটেছে দারিদ্র্যে 

আর্জেন্টিনার ম্যাচে রেফারি অ্যান্টোনিও মাতেউ লাহোজ ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন ৪৮ বার, দুই দল মিলিয়ে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ১৬ বার, লাল কার্ডও ছিল একটি। তবে পর্তুগালের ম্যাচে অবশ্য ফাকুন্দো তেয়ো তেমন কিছু করেননি। ২৪ বার ফাউল ডেকেছেন তিনি, দুই দল মিলিয়ে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন মোটে ২ বার, এমনকি ম্যাচের ইনজুরি সময়ে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ মরক্কোর এক খেলোয়াড়কে দেখিয়েছেন লাল কার্ডও!

আর্জেন্টাইন রেফারির এমন রেফারিংও পর্তুগাল খেলোয়াড়দের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। পেপে যোগ করেন, ‘আর্জেন্টাইন রেফারিকে এই ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়াটাই অগ্রহণযোগ্য। আজ আমরা যা দেখেছি, তাতে তারা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপটা জিতিয়ে দিলেই তো পারে!’ 

এরপর মিডফিল্ডার ব্রুনো ফের্নান্দেসও একই সুরেই কথা বললেন, ‘আমি জানি না তারা শিরোপাটা আর্জেন্টিনার হাতে তুলে দিতে চায় কি না। আমি পরোয়াও করি না, আমার যা মনে হয়েছে, আমি তা-ই বলব। বিশ্বকাপে এখনো আছে, এমন একটা দলের রেফারি আমাদের ম্যাচের দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, এটা খুবই অদ্ভুত। এটা পরিষ্কার ছিল যে তারা মাঠেই নেমেছিল আমাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত দিতে।’

এনইউ/এটি