এই নেইমারের অপেক্ষাতেই ছিল ব্রাজিল
বিশ্বকাপে ব্রাজিল খেলেছে ৪ ম্যাচ, কিন্তু মন ভরানো ফুটবল খেলেছে কয় ম্যাচে? উত্তর– ২ ম্যাচে। বিশ্বকাপে নিজেদের শুরুর ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে আর দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। মাঝের ১০ দিনে দুটি ম্যাচ, মানে সুইজারল্যান্ড আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিল এক ম্যাচে জিতেছে, হেরেছে আরেকটিতে; কিন্তু মন ভরানো ফুটবলটা খেলতে পারেনি।
মাঝের ১০ দিনে নেইমার ছিলেন না, অ্যাঙ্কেলের চোট নিয়ে ছিলেন মাঠের বাইরে। পিএসজি তারকা খেলেছেন শুরুর ম্যাচ আর সবশেষ ম্যাচে। এটা কি নেহায়েতই কাকতাল? মোটেও নয়।
বিজ্ঞাপন
স্ট্রাইকারের পেছনে ‘ত্রেকোয়ার্তিস্তা’ বা নম্বর টেন রোলে তাকে খেলান কোচ তিতে, যেখান থেকে নেইমার ব্রাজিলের আক্রমণের সূচনা গড়ে দেন, কখনো সখনো শেষও করেন। সেই নেইমারকেই যখন পাবে না, ব্রাজিলকে তখন কিছুটা রঙহীন লাগাটাই স্বাভাবিক।
সেই নেইমার ফিরেছেন সবশেষ ম্যাচে। তাতে যেন ফিরেছে ব্রাজিলের ছন্দও। শুরুর ৪৫ মিনিটে নেইমার-ভিনিসিয়াসরা মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন কোরিয়ান রক্ষণকে।
ভিনিসিয়াসের গোলে শুরু, এরপর বুদ্ধিদীপ্ত এক পেনাল্টিতে নেইমার করেছেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল, এরপর সেলেসাওদের স্কোরশিটে নাম তুলেছেন রিচার্লিসন আর পাকেতাও।
তবে নেইমার আলাদা করে আলো ছড়িয়েছেন। ব্রাজিলের দাপুটে জয়ে রেখেছেন বড় ব্যবধান, চলতি বিশ্বকাপের প্রথম গোলের পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
বিশ্বকাপের আগে সতীর্থ থিয়াগো সিলভা বলেছিলেন, এই বিশ্বকাপে নতুন এক নেইমারকেই পাবে ব্রাজিল। পিএসজি তারকা সেটা করে দেখাচ্ছেন। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে এমন আগুনে নেইমারকেই তো চেয়েছিল ব্রাজিল!
এনইউ/এটি