বিদায়ের পর বেলজিয়াম দলে ‘ভাঙনের সুর’
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপটা যাচ্ছেতাই কেটেছে বেলজিয়ামের। গতবারের বিশ্বকাপেই ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখানো দলটি এবার প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলেছে শ্রীহীন ফুটবল। ফলাফল, গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘণ্টা বাজল ইউরোপের শক্তিশালী দলটির। নিজেদের এমন অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে হতাশ বেলজিয়াম দলের খেলোয়াড়রাও। আর তাতে দলের মধ্যে দেখা দিল ভাঙনের সুর।
এবারের বিশ্বকাপে বেলজিয়াম দলটাকে তেমন সুন্দর লাগেনি। দলের মধ্যে কিছুটা ভাঙনের খবর ছিল আগে থেকেই। বিশ্বকাপ শেষে সেটাই আবার বড় হয়ে দেখা দিল। বিশ্বকাপ শেষে দলের সঙ্গে দেশে ফেরেননি পাঁচ ফুটবলার। আলাদা করে দেশে ফিরবেন তারা। বাকিরা দেশে ফিরলেও শোনা যাচ্ছে, ফুটবলারদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। আর তাতে অনেকেই ধারণা করছেন, ভেঙে যাচ্ছে বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের দলটা।
বিজ্ঞাপন
বেলজিয়াম দলে ভাঙনের পেছনে কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন কেভিন ডি ব্রুইনের নাম। বিশ্বকাপের মধ্যে এই মিডফিল্ডার বলেছিলেন, তার দলের ট্রফি জেতার ক্ষমতা নেই। কারণ তারা বুড়ো হয়ে গেছেন। এই মন্তব্যে ক্ষেপেছেন তার সতীর্থরা। শোনা গেছে, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর ডিফেন্ডার টবি অল্ডারওয়েরেল্ডের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয় ডি ব্রুইনের। এছাড়া মরক্কোর বিপক্ষে হারের ম্যাচেও ডি ব্রুইনের সঙ্গে এদেন অ্যাজার এবং জান ভার্টোঙ্গেনের বিবাদের খবর পাওয়া গেছে।
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমের খবর, দলের অনেকেই আর দেশের হয়ে খেলতে চাইছেন না। আগামী কয়েক দিনে অবসর নেওয়ার লাইন লেগে যেতে পারে। ডি ব্রুইন নিজেই নাকি আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে ইচ্ছুক নন। এমন খবর যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে সত্যি সত্যিই ভাঙতে যাচ্ছে বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের দল।
বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দুই নম্বর দল বেলজিয়ামকে টপকে এবার নকআউটে গিয়েছে মরক্কো এবং ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচের দলের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে প্রচুর সুযোগ হারায় বেলজিয়াম। বিদায় নেওয়ার পর দোহা থেকে ব্রাসেলসে ফেরার জন্য আলাদা করে বিমানের ব্যবস্থা করেছিল বেলজিয়াম ফুটবল সংস্থা। কিন্তু টমাস মিউনিয়ের, অ্যাক্সেল উইটসেল, জেরেমি ডোকু, আর্থার থিয়েট এবং লোইস ওপেন্ডা দলের সঙ্গে যাননি। তারা অন্য কোথাও ঘুরে আলাদা করে দেশে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।