জিতলেই সুযোগ ছিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক আউটে খেলার, বি গ্রুপের এমন ম্যাচে ইরানকে গোল করার কোনো সুযোগই দিল না যুক্তরাষ্ট্র। উল্টো প্রথমার্ধের শেষ দিকে ক্রিস্টিয়ান পুলসিকের গোলে লিড নিয়ে রাখে দলটি। সেই গোলটাই শেষমেষ গড়ে দেয় পার্থক্য। আর তাতে ইরানকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উঠল যুক্তরাষ্ট্র।

আল থুমামা স্টেডিয়ামে সোমবার ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্দান্ত এ জয়ে আট বছর আর পাঁচ ম্যাচ পর বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ ষোলোয় ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে তারা।

শুরুর দশ মিনিট ব্যাপক তোড়জোড় চালিয়েও আক্রমণ শাণাতে ব্যর্থ হয় ইরান। একাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে পুলিসিকের সহজেই ঠেকিয়ে দেন ইরান গোলরক্ষক। ২৮তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ হারায় আমেরিকানরা।

তবে সুযোগ হারানোর মিছিলে আর যোগ দেননি পুলসিক। ৩৮তম মিনিটে তার গোলেই কাঙ্ক্ষিত লিড পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্টন ম্যাককেনির ক্রসে হেডে বল ছয় গজ বক্সে বাড়ান সের্জিনো দেস্ত, আর দারুণ ভলিতে জালে পাঠান পুলসিক।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও বল জালে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সে গোল। 

প্রথমার্ধে রক্ষণে সময় ব্যয় করা ইরান দ্বিতীয়ার্ধে মনোযোগ দেয় আক্রমণে। ৫২তম মিনিটে একটি সুযোগ হাতছাড়া করে দলটি। তবে আরব দেশটির এর চেয়েও ভালো সুযোগ আসে অতিরিক্ত সময়ে। মোর্তেজা পুরালিগাঞ্জির ডাইভিং হেড লক্ষ্যে থাকেনি। একেবারে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ক্যামেরন কার্টার-ভিকার্সের চ্যালেঞ্জে ডি-বক্সে মেহদি তারেমি পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে ইরান। সাড়া দেননি রেফারি। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন ইরানের অনেক খেলোয়াড়।