মেসি বার্সাতেই থেকে যাচ্ছেন?
বার্সেলোনার নবনির্বাচিত সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা তার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়ই বলেছিলেন, তিনি ছাড়া আর কেউ রাখতে পারবে না লিওনেল মেসিকে। সেই তিনিই অবশেষে ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাতে বার্সা অধিনায়কের নতুন চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনাও বেড়েছে বহুগুণে।
মেসির সঙ্গে লাপোর্তার সম্পর্কটা বেশ মধুর। তার সিনিয়র ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল তার আমলে, প্রথম পেশাদার চুক্তিও। এরপর ২০১০ সালে ক্লাব ছেড়ে গেলেও মেসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অটুট। তাইতো জোর গলায় নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, মেসিকে কেউ রাখতে পারলে তিনিই পারবেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনের দিন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মেসিকে রাখার ব্যাপারে কাজ কখন শুরু করবেন, এ নিয়ে। জবাবে লাপোর্তা বলেছিলেন, ‘দুই-তিন দিন পর কেন? আজই কেন নয়?’ সেটা হয়তো দুষ্টুমি করেই বলেছিলেন, তবে মেসিকে রাখার ব্যাপারে যে তিনি যথেষ্ট সিরিয়াস, তা বোঝা যাচ্ছিল নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই।
তার ছাপ থাকল সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরও। ১১ বছর পর ক্লাব অফিসে ফেরাটা নিশ্চিত করার পর তিনি জানান, ইতোমধ্যেই মেসিকে ক্লাবে রাখার পথ বের করায় মনোযোগ দিয়ে দিয়েছেন তিনি। লাপোর্তার কথা, ‘আজকের দিনে লিও মেসি নামের ছোট্ট ছেলেটার বার্সেলোনা ইনফান্তিল বি (অনূর্ধ্ব ১২-১৩) দলে অভিষেকের ২০ বছর হয়ে গেল। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়টা তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে এসেছে, আমরা আগে যা বলেছিলাম, এটা তারই প্রমাণ।’
গেল ২৫ আগস্ট যখন ক্লাব ছাড়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছিলেন মেসি, ক্লাবের প্রতি ভালোবাসার অভাবের অভিযোগও উঠেছিল তার বিপক্ষে। সেই মেসিই এলেন নির্বাচনে ভোট দিতে। লাপোর্তা একে দেখছেন ক্লাবের প্রতি তার ভালোবাসা হিসেবে। বললেন, ‘লিও বার্সাকে ভালোবাসে। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়টা বার্সেলোনাকে ভালোবাসে।’
ক্লাবের প্রতি এ ‘ভালবাসাটাকে’ কাজে লাগিয়েই লাপোর্তা চান মেসিকে ক্লাবে রেখে দিতে। তিনি বলেন, ‘আশা করি তাকে বার্সেলোনায় থাকতে সেটাও সাহায্য করবে। এটাই আমরা চাই।’
বার্সার নবনির্বাচিত সভাপতি লাপোর্তা নির্বাচিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সংবাদ মাধ্যমে এসব কথা বলেন। ক্লাবের সব সদস্যকে ভোট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়াও তার নির্বাচনী দল, স্বেচ্ছাসেবীদের ও গণমাধ্যম কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান বার্সেলোনার নতুন সভাপতি।
এনইউ